বার্নপুরের জিম ট্রেনার এবার জেলার ভোটের স্টিলম্যান ম্যাসকট
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল ।পশ্চিম বর্ধমান জেলায় অন্তত ৯০ শতাংশ ভোটদানে ভোটারদের আনার জন্য আগ্রহ তৈরি করতে এবার জেলা নতুন ম্যাস্কট তৈরি করল। স্টিল ম্যান অর্থাৎ ইস্পাতের তৈরি মানুষ। তার গায়ে লেখা আছে আমি ইস্পাতের মত শক্ত ।আপনি ভোটদানে প্রস্তুত তো? সঙ্গে থাকছে ভোটদানের আবেদন ।



এই মানুষটিকে শুক্রবার আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে জেলার সমস্ত সাংবাদিকদের নিয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত এক কর্মশালায় আনুষ্ঠানিকভাবে হাজির করলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি সহ অন্য আধিকারিকরা। জেলাশাসক বললেন আমাদের জেলায় গড়ে ৭৭ শতাংশ ভোট পড়ে। ভ এরমধ্যে গ্রামীণ অঞ্চলে ৮০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পড়লেও শহর অঞ্চলে বিশেষ করে আসানসোল-দুর্গাপুর রানীগঞ্জ এসব এলাকায় অনেক কম ভোট দেন ভোটাররা। অর্থাৎ এই যে একটা ব্যাপক সংখ্যক মানুষ ভোট দিচ্ছেন না তাদের কাছে মিডিয়ার মাধ্যমে যেমন তিনি আহ্বান জানান এবার ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য। একইভাবে তিনি বলেন এই ম্যাসকট কে আমরা শ স্কুল থেকে শুরু করে শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলে নিয়ে যাব এবং মানুষকে উৎসাহিত করব।

যাকে স্টিলম্যান হিসেবে ম্যাসকট করে আজকে রবীন্দ্রভবনের মঞ্চে উপস্থিত করা হলো তার নাম মোহাম্মদ শেখ। ৩২ বছর বয়সী সুঠাম চেহারার এই যুবক আসানসোলের হিলভিউ এলাকার বাসিন্দা। এবং তিনি একাধিক জিমের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেন আসানসোলে। কখনো কখনো কলকাতাতেও তিনি বলেন এইরকম একটি সুযোগ পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বিশেষ করে আমার চিহ্নে ইস্পাতের মানুষ উল্লেখ করা হয়েছে সেই।
বার্নপুর ইস্পাত কারখানার কাছেই আমার বাড়ি। আমার বিশ্বাস মানুষ নিশ্চয়ই আমাকে এভাবে দেখে আরও ভোটদানে উৎসাহিত হবেন। সূত্র থেকে জানা গেছে প্রয়োজনে এমন আরও একাধিক স্টিলম্যান তৈরি করে তাদের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরান হবে ।কিন্তু কেন হঠাৎ এই স্টিল ম্যানকে আনা হল এর উত্তর দিতে গিয়ে জেলাশাসক এইসময় কে বলেন এই জেলার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র বার্নপুর ও দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী ।বার্নপুর ইস্পাত কারখানা দেশের অন্যতম প্রাচীন কারখানা। আর একজন ভোটার তিনি করোনা কে হারিয়ে অথবা তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যদি থেকে বা তিনি যদি ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে আছেন তেমন ভোটারদের ইস্পাতের মত মানসিকতা পৌঁছে দেবে এই স্টিলম্যান। তেমন ভোটার প্রয়োজনে তার বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এই মানসিকতা থেকেই এই ম্যাস্কটকে বাছা হয়েছে।
একই সঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করেন সমস্ত রকম আইন শৃঙ্খলা বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে জেলা প্রশাসন ভোট করতে মরিয়া। তাই কারোর যদি কোথাও কোনো রকম ভোট নিয়ে ভীতি থাকে বা আতঙ্ক থাকে অবশ্যই তা যেন জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। এজন্য ৩৬ টি বিশেষ দল গোটা জেলা জুড়ে ঘুরছে। এলাকায় নিরাপত্তা দেখার জন্য ইতিমধ্যেই ১৫ প্লেটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী সকালে এবং বিকেলে বিভিন্ন জায়গায় রোডমার্চ করছে।
তিনি জানান দুর্গাপুর এবং আসানসোলে যারা মনোনয়ন দিতে যাবেন মনোনয়ন কেন্দ্রে প্রার্থীসহ মোট তিনজন প্রবেশ করতে পারবেন। জেলাশাসক সমস্ত রাজনৈতিক দলের সবাইকে সবার উদ্দেশ্যে আচরণবিধি মানার ওপর জোর দিয়ে বলেন যেকোনো খেলাতেই সবার জন্য সমান মাঠ রাখতে হয় এবং সেখানে রেফারি থাকেন। খেলায় হলুদ কার্ড এবং লাল কার্ডের ব্যবস্থা আছে ।এক্ষেত্রেও সেটা কিন্তু মনে রাখতে হবে সবাইকে।