ASANSOLASANSOL-BURNPUR

করোনা আক্রান্ত হয়ে বার্ণপুরের বৃদ্ধর মৃত্যু

পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সংখ্যা বেড়ে ১৭০

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্তসেনগুপ্ত, আসানসোল, ১৬ মার্চঃ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো এক বৃদ্ধর। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে। আসানসোলের হিরাপুর থানার বার্ণপুরের রিভারসাইডের বাসিন্দা মৃত বৃদ্ধর নাম অশোক কুমার পাল (৬৪)। মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে বৃদ্ধর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা।


করোনা বিধি মেনে পরিবারের হাতে এদিন বৃদ্ধর মৃতদেহ আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ দেয় নি। পুলিশ জানায়, মৃতদেহ হিরাপুর থানার পুলিশকে দেওয়া হবে। তারা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মতো মঙ্গলবার রাতে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মৃতদেহ সৎকার করবে। তারপরই ডেথ সার্টিফিকেট পরিবারকে দেওয়া হবে।


অন্যদিকে, এর আগে পরিবারের সদস্য দের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিলো। সেই সময় তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আবার মৃতার স্ত্রী সহ পরিবারের সদস্যদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। যদিও তাদেরকে স্বাস্থ্য দপ্তর ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি বৃদ্ধর বাড়ির আশপাশের এলাকা জীবাণু মুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবারের সদস্য যারা, বৃদ্ধর সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদেরকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বার্ণপুর ইস্কো কারখানার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী অশোক কুমার পাল ১২ দিন আগে অসুস্থ হয়ে বার্ণপুরের ইস্কো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় হাসপাতাল কতৃপক্ষ তার লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠায়। গত ১২ মার্চ আরটিপিসিআর পরীক্ষায় তা পজিটিভ আছে। তারপর থেকে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। সোমবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গতঃ, এই নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এখনো পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৭০ জনের মৃত্যু হয়। জেলায় এখনো পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৫৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ হাজার ২৬৫ জন। জেলায় এখন এ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১২৩। গত ২৪ ঘন্টায় ( সোমবার রাত পর্যন্ত) জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ জন।


স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় এই মুহুর্তে ১০৮ টি জায়গা থেকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। তারমধ্যে ৯৯ টি জায়গায় সরকারি ভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। বাকি ৯টি জায়গায় বেসরকারি হাসপাতালে ভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Leave a Reply