সরকারি বাসের ধাক্কায় ইসিএল কর্মীর মৃত্যু, উত্তেজনা, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ৩০ মার্চঃ চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার মাত্র একদিন আগে নিজের কর্মস্থল থেকে বাড়িতে খেতে যাওয়ার সময় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলো এক ইসিএল কর্মীর। মৃত ইসিএলের কর্মীর নাম সুশীল কর্মকার(৬০)। মৃত ইসিএলের বাড়ি কুলটি থানার রাধানগর গ্রামে। এই দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা পুরুলিয়া নিয়ামতপুর রোড অবরোধ করে মৃত ইসিএল কর্মীর পরিবারের একজনকে চাকরি, আর্থিক ক্ষতিপূরণ ও বাসের চালককে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুলটির থানার নিয়ামতপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইসিএলের সোদপুর ওয়ার্কসপের সামনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় আসে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2021/03/accidnt.jpg?resize=500%2C281&ssl=1)
পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় ইসিএল কর্তৃপক্ষ এক মাসের মধ্যে মৃত কর্মীর পরিবারের একজনকে চাকরির আশ্বাস দেন। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয় দোষী চালককে গ্রেপ্তার করে আইনগত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে ।তারপর প্রায় তিন ঘন্টা পরে অবরোধ উঠে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে কুলটি থানার নিয়ামতপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইসিএলের সোদপুর ওয়ার্কসপের কর্মী সুশীল কর্মকার মোটরসাইকেল করে নিয়ামতপুর পুরুলিয়া রোড দিয়ে বাড়িতে খেতে যাচ্ছিলেন ।সেই সময় দ্রুত গতিতে পুরুলিয়ার দিকে যাওয়া একটি এসবিএসটিসি বাস তাকে ধাক্কা মারে। বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মৃতদেহ তুলে জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। এই দূর্ঘটনার পরে মৃত ইসিএলের কর্মীর পরিবারের একজনকে চাকরি ও বাস চালককে গ্রেফতার ও আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়ে গাছের গুড়ি ফেলে পথ অবরোধ করে রাখে স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা দাবি করেন যতক্ষণ না তাদের দাবি ততক্ষণ এই অবরোধ চলবে ইসিএল ও পুলিশ দাবি মেনে নেওয়ায় প্রায় ঘণ্টা তিনেক পরে অবরোধ উঠে যায়।