বিদ্বজ্জনদের সঙ্গে আলোচনা সভায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, এবারের নির্বাচন বাংলায় পরিবর্তনের নির্বাচন
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ১৪ এপ্রিলঃ এবারের নির্বাচন অগ্নিমিত্রা পালদের মতো দলের প্রার্থীদের জেতানোর শুধু নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন বাংলার পরিবর্তনের নির্বাচন। যোগ্য নেতা বাছাইয়ের এই নির্বাচন। যাতে বাংলার সার্বিক উন্নয়ন হবে। বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোলের বার্ণপুরের চিত্রা সিনেমা হল সংলগ্ন একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে হওয়া এক আলোচনা সভায় এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের সমর্থন জেলা বিজেপির ইনটেলেকচুয়াল সেলের পক্ষ থেকে এলাকায় বিদ্বজ্জনদের নিয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিলো। সেই সভায় প্রার্থী ছাড়াও ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাসগুপ্ত, বাঁকুড়ার সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, জেলার কনভেনার তথা দায়িত্বে থাকা সভাপতি শিবরাম বর্মন, জেলার পর্যবেক্ষক সৌরভ শিকদার, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেএন রায়।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এই আলোচনা সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃনমুল কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, গত ১০ বছরে বাংলার কোন বিকাশ হয়নি। বরং সবদিক থেকে বাংলা আরো পিছিয়ে গেছে। বাংলার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি থেকে বেরোতে হবে। দিদির শাসনে দলিত ভাইবোনদের উপর অত্যাচার হয়েছে। একটা রাজনৈতিক দল পাওয়া যায় নি, যারা এর প্রতিবাদ করেছে। গত ১০ বছরে বাংলার আইনের শাসন বলতে কিছু নেই। প্রশাসনে রাজনীতিকরন হয়েছে। গোটা সিস্টেমটাকেই বাংলায় ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা এর পরিবর্তন করতে চাই। এতদিন নেতা থাকলেও, কর্মী ছিলো না। কর্মী থাকলেও নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কেউ ছিলোনা। আবার নেতৃত্ব দেওয়ার মতো থাকলেও কোন কর্মসূচি ছিলোনা। এখন কিন্তু বিজেপিতে এর সবকিছুই আছে।
আপনারা কি চাননা কাটমানি বন্ধ হোক। সিন্ডিকেটরাজ শেষ হোক। যুবদের কর্মসংস্থান হোক । তিনি বলেন, তৃনমূল কংগ্রেসের লোকেরা আমফানের টাকা খেয়েছে। রেশনের চাল চুরি করেছে। এমন দলকে কি আবার আপনারা ক্ষমতায় চান। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি আক্রমন করে বলেন, আমি কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রী থাকাকালীন দেখেছি বাংলার কি অবস্থা। ডেঙ্গুর কোন তথ্য দেওয়া হয়নি। এর ফলে বাংলার মানুষেরা চিকিৎসা পাননি। করোনার সময় কেন্দ্রীয় দল আসে। তাদেরকে বসিয়ে রাখা হয়। কোথাও যেতে দেওয়া হয়নি। কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত ও কৃষক নিধি বাংলায় এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করতে দেননি। এখন তিনি সভায় চন্ডি পাঠ করছেন। ২ মের পরে এই চন্ডি পাঠ করার অনেক সময় পাবেন। বিজেপি ক্ষমতায় এসে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে আয়ুষ্মান ভারত ও কৃষক নিধি প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নেবে। বক্তব্যের শেষে জেপি নাড্ডা বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন।