জেলায় দুদিনে ১ হাজারেরও বেশী আক্রান্ত, মৃত ২, পার হলো ২১ হাজারের গন্ডি
করোনা আক্রান্তদের জন্য ১০টি ‘সেফ হাউস’ চালুর সিদ্ধান্ত
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় , আসানসোল, ২১ এপ্রিলঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলায় হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত দুদিনে জেলায় ১ হাজারেরও বেশী মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তর সংখ্যা ৫৪৭ জন। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১, ৫৪৭ জন। জেলায় এ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা একলাফে বেড়ে হয়েছে ৩১৪৯ জন। জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা ১৮২ জন।
এদিকে ভ্যাকসিনের আকাল আর অন্যদিকে হাসপাতাল ও নার্সিং হোমগুলিতে যথেষ্ট বেড না থাকায় পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। তারই মধ্যে চলছে ভোটের প্রচারে লাগামছাড়া রোড শো, মিটিং, মিছিল। এইসব থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আরও বাড়ছে ও বাড়বে বলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।
দুই কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে রোড শো ও সভা স্মৃতি ইরানির
এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে আসানসোল পুরনিগম এলাকায় কোভিড আক্রান্ত রোগীদের জন্য দশটি ‘সেফ হাউস’ চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পুরকমিশনার নীতিন সিংঘানিয়ার সভাপতিত্বে জরুরী বৈঠক হল পুরনিগমে। বৈঠকে পুরনিগমের সবকটি বিভাগের আধিকারিকরা যোগ দেন। বৈঠকে পুর এলাকায় করোনা মোকাবিলা ও প্রতিরোধে স্যানিটাইজেশন নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
পুর প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আসানসোল ও দূর্গাপুরের কয়েকটি হোটেলকে করোনা রোগীদের জন্য সেফ হাউস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যেসব মানুষ এই রোগী প্রাথমিক পর্যায়ে আক্রান্ত হবেন, তাদেরই এই সেফ হাউসগুলোতে রাখা হবে। মোট ১০টি সেফ হাউসের মধ্যে ৮ টি আসানসোল মহকুমায় ও বাকি দুটি দূর্গাপুর মহকুমায় করা হবে। এছাড়া পুরনিগমের ১০৬টি ওয়ার্ডে স্যানিটাইজেশন প্রক্রিয়া চালানোর জন্য বিভিন্ন বনিকসভার সহায়তা চাওয়া হবে। একটি বিশেষ কোভিড সহায়তা নম্বর চালু করারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে পুরনিগমের তরফ থেকে। এই নম্বরে ফোন করে জানা যাবে কোন হাসপাতালে বা নার্সিং হোমে কোভিড রোগীর জন্য কত বেড খালি আছে। এছাড়া পুর এলাকার সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে নানা তথ্যও পাওয়া যাবে।
তবে, আসানসোল জেলা হাসপাতালের বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক থাকলেও, আসানসোলের রেলের ডিভিশনাল হাসপাতাল, চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতা, বার্ণপুরের আইএসপি বা ইস্কো হাসপাতালের অবস্থা খুবই চিন্তাজনক। এইসব হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক ও কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ এরফলে এইসব হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা পরিসেবা পাওয়া অসুবিধা হয়ে গেছে।