ASANSOLBARABANI-SALANPUR-CHITTARANJANKULTI-BARAKAR

শেষ দিনে প্রচারে ঝড় তুললেন শুভেন্দু অধিকারী ও বাবুল সুপ্রিয়,পদ্ম শিবিরে যোগ দিলেন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট লোভী, ষষ্ঠ দফাতেই বিজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে গেছে

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত , আসানসোল, ২৩ এপ্রিলঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতা লোভী। তিনি ভোটে জিতে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভাজনের রাজনীতি করছেন। হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে ভেদাভেদ করছেন। তার এই কৌশল বাংলার মানুষেরা ধরে ফেলেছেন। শুক্রবার দলের প্রার্থীদের প্রচারে এসে আসানসোলে তৃনমুল কংগ্রেসের সুপ্রিমোকে এমন ভাবেই আক্রমন করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)।


এদিন শুভেন্দু অধিকারী ও আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এবারের নির্বাচনে কলকাতার টালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় প্রথমে কুলটিতে দলের প্রার্থী ডাঃ অজয় পোদ্দারের প্রচারে যান।

কুলটির আলডিতে তারা একটি সভা করেন। সেই সভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কুলটিতে প্রধান সমস্যা হলো পানীয়জলের। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার ৬ মাসের মধ্যে এখানকার পানীয়জলের সমস্যার সমাধান করবে। এই এলাকায় নতুন করে শিল্পায়ন করা হবে। তাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

শুভেন্দু আরো বলেন, নন্দীগ্রামে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ১০ গোল দিয়েছি। তিনি ওখানে হেরে গেছেন। দলের নেত্রী হেরে গেলে আর কি থাকে? দলটাই থাকবে না। আমি নন্দীগ্রামে জিতছি আর বাবুল সুপ্রিয় টালিগঞ্জে জিতছে। আমরা দুজনে একসঙ্গে উন্নয়নের কাজ করবো।


পরে বিকালে আসানসোলের বিএনআরে আসানসোল উত্তর বিধান সভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে একটি সভায় বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী ও বাবুল সুপ্রিয়। এই সভায় আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র সিপিআই নেতা দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেন।


এখানে সভার শুরুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, ষষ্ঠ দফাতেই বাংলায় ক্ষমতায় আসার জন্য বিজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে গেছে। বাকি দু’দফায় আসন বাড়ানো হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, মাননীয়া রাজ্য জুড়ে ভাষা সন্ত্রাস চালাচ্ছেন। একজন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে খেলা হবে বলছেন। কেন বলবেন? তাহলে দশ বছরে কি করেছেন।

বৃহস্পতিবার বারাবনির সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোলের সাংসদকে আক্রমণ করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, বাবুল সুপ্রিয় একজন শিল্পী। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। মুখ্যমন্ত্রী তো তার শিল্পী সত্তাকে আক্রমন করেছেন। রাজনৈতিক ভাবে বাবুলকে তিনি আক্রমন করতেই পারেন। আমি তিনজন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেছি। কাউকে এমন দেখিনি। মাননীয়ার যাওয়ার সময় হয়েছে।


বাবুল সুপ্রিয় Babul supriyo , তৃনমুল কংগ্রেসের মানসিকতাই কালো হয়ে গেছে। তাই তারা সবাইকে কালো পতাকা দেখায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাকে এখানে গুন্ডা কন্ট্রোল করতে পাঠায় সেই অরুপ বিশ্বাসকে আমি টালিগঞ্জে হারিয়ে দিয়েছি। আর এই জেলায় ৯-০ হবে। বাংলায় দুশো পার করছে বিজেপি।

Leave a Reply