আসানসোল উত্তরের অটুট দুর্গ, জয়ের হ্যাটট্রিক মন্ত্রী মলয় ঘটকের
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়/সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল : কঠিন লড়াইয়ের শেষে জয় হল রাজ্যের দুবারের মন্ত্রী মলয় ঘটকের ( Moloy Ghatak )। জয়ের হ্যাটট্রিক হল তাঁর আসানসোল উত্তরের তৃণমূলের প্রার্থী মলয় ঘটক ২১ হাজার ১১০ ভোটে পরাজিত করলেন নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী বিজেপির কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়কে। গণনা শুরু হওয়ার পর প্রথম কয়েক রাউন্ড বেশ তরতর করেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন বিজেপি প্ৰার্থী কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। তখন আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃনমূল কর্মী ও সমর্থকদের কপালে তখন ছিল চিন্তার ভাঁজ। রাজ্যের দু’দুবারের মন্ত্রী তথা শাসক দলের অন্যতম হেভিওয়েট প্রার্থী মলয় ঘটক এখানে দলের প্রার্থী। বেলা একটু গড়ানোর পরই অবশ্য বদলে যেতে শুরু করল ছবিটাও।
প্রথম থেকেই এখানে লড়াইটা সীমাবদ্ধ ছিল তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে। সংযুক্ত মোর্চার আইএসএফ প্রার্থী সহ মিম বা অন্য দলের প্রার্থীদের ভোটদাতারা সেভাবে ধর্তব্যের মধ্যেই রাখতে চাননি তা স্পষ্ট হয়ে যায় গণনা শুরু হওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই। শেষ পর্যন্ত শেষের দিকের রাউন্ডগুলিতে নিজের ‘লিড’ বেশ খানিকটা বাড়িয়ে নিয়ে এই কেন্দ্রে জয়ী হলেন তৃণমূল প্রার্থী মলয় ঘটকই।
এবার এই আসানসোল উত্তর কেন্দ্রে প্রার্থী নির্বাচনের সময় বিজেপি নেতৃত্ব জোর দিয়েছিলেন যে বিষয়ে তা হল লড়াকু মানসিকতার সাহসী কোনও প্রার্থী। সেই যোগ্যতাতেই প্রার্থী হন কৃষ্ণেন্দু। কিন্তু দেখা গেল আপ্রাণ লড়াই করেও জেতার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল হঠাৎ রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া কৃষ্ণেন্দুর। শেষ হাসিটা হাসলেন দীর্ঘদিনের পোড়- খাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মলয় ঘটকই।মলয় ঘটক ভোট পেয়েছেন ১ লক্ষ ৯ ৩১ ভোট । কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত ভোট ৭৯ হাজার ৮২১ টি।
আসানসোল উত্তর কেন্দ্রটির বড় অংশজুড়ে রয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। তৃণমূলের পক্ষে থাকা এই ভোট কাটার সম্ভবনা ছিল সংযুক্ত আইএসএফ প্রার্থী মহঃ মুস্তাকিমের। কিন্তু তিনি ৫ হাজারের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। এমনকি মিমের প্রার্থী দানিশ আজিজ তেমন ভোটও পাননি। ফলে বিরোধীদের সম্মিলিত প্রয়াসেও টলানো গেল না মলয় ঘটককে ( Moloy Ghatak )। মলয় ঘটক বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর উন্নয়নে আস্থা রেখে বাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে আবার ক্ষমতায় এনেছেন।