আরো ৪ দিন আসানসোল শিল্পাঞ্চলে মিনিবাস ও বড়বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত মালিক সংগঠনের
লাগাম পড়ানো যাচ্ছেনা করোনাকে
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল, ৩ এপ্রিলঃ আসানসোল শিল্পাঞ্চল সহ গোটা পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ব্যাপক হারে করোনার প্রকোপ বেড়ে গেছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। আর সেই কারণে আরো চার দিনের জন্য আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বড় বাস ও মিনিবাস চালানো বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করলেন দুই বাসের মালিক সংগঠন।
সোমবার দুই সংগঠনের তরফে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব ও আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক বা আরটিওর কাছে চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায় এদিন বলেন, এই শিল্পাঞ্চলে তাদের প্রায় ৪০০ মিনিবাস চলে।
কিন্তু গত ১ মে থেকে সেই সমস্ত বাস-মিনিবাস গুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও আসানসোলে করোনার প্রকোবল কমেনি। বরং বেড়েই চলেছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সেই কারণেই এদিন আমরা আবার দুই সংগঠন বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আগামী ৭ মে পর্যন্ত অর্থাৎ আরো ৪দিন বাস ও মিনিবাস বন্ধ রাখা হবে। ব্যবসার থেকেও মানুষের জীবন আগে এটাই আমরা মনে করছি এই সময়ে। এতে অবশ্য বেশকিছু মানুষ বিশেষ করে অফিস যাত্রীদের অসুবিধা হবে। কিন্তু সবার কথা ভেবেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। কেননা আমাদের কর্মীদেরকেও বাঁচানোর আমাদের এখন একটা বড় কাজ ।
আসানসোল বড় বাস মালিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিজন মুখোপাধ্যায় বলেন, যাত্রী ও কর্মীরা বেঁচে থাকলে তবেই তো বাস চালানো যাবে। সর্বোপরি সব পরিবহনেই যাত্রী সংখ্যা কমেছে করোনার আতঙ্কে। প্রত্যেকদিনই আমরা শিল্পাঞ্চলে কারোর না কারোর মৃত্যুর খবর পাচ্ছি। জেলায় এক দিনেই আক্রান্ত প্রায় হাজার খানেক হচ্ছে।। বহুবার মানুষকে বলেও দেখা যাচ্ছে, এখনো তারা অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। সামাজিক দূরত্ব বিধিও মানছেন না। এই সমস্ত দিক মাথায় রেখেই আমরা আপাতত আরো চার দিনের জন্য প্রায় সাড়ে তিনশো বড় বাস না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শুধু আসানসোল-দুর্গাপুর বা স্থানীয় বাস নয়, দূরপাল্লার বাস যা চলে সব বন্ধ থাকবে । এতে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মানুষের যাতায়াতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। ফলে হয়তো করোনা কিছুটা কমতে পারে।
আগামী ৭ মে আমরা আবার নিজেরা আলোচনায় বসে পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব। যদি দেখি করোনার প্রকোপ বাড়ছে তাহলে আমরা আলোচনা করে বাস বন্ধের দিনের সংখ্যা আরো বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।