অন্ডালের গ্রামে ধস, মন্দির সহ ৪০ টি বাড়িতে ফাটল, পুনর্বাসনের দাবিতে জিএমের বাংলোর সামনে বিক্ষোভ
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, অন্ডাল ও দূর্গাপুর, ১৪ মেঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুর মহকুমার অণ্ডাল থানার বহুলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পড়াশকোল এলাকায় ধসের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। এই ধসের কবলে প্রায় ১০০ টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। এদিনের ধসে এলাকার একটি মন্দির সহ প্রায় ৪০ টি বাড়িতে ফাটল ধরেছে। পাশাপাশি এই ধসে এলাকার রাস্তাতেও ফাটল ধরেছে। এই ঘটনার পরে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা পরিবার নিয়ে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নেয়।
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/05/img-20240520-wa01481045365085360283686-500x428.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/09/img-20240909-wa00806721733580827251668.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/12/fb_img_17339279922403722767543487143310-476x500.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2021/05/IMG-20210514-WA0274-500x225.jpg)
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ইসিএলের গাফিলতি ও উদাসীনতার কারণে তাদেরকে আজ বিপাকে পড়তে হয়েছে । খবর পেয়ে এলাকায় তড়িঘড়ি ছুটে আসেন আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর, দূর্গাপুরের মহকুমাশাসক অর্ঘ্য প্রসূন কাজী, অণ্ডাল বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাস সহ তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতা ও কর্মীরা। সিপিএমের নেতা ও কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের নিয়ে ইসিএলের জিএমের কোয়ার্টারের সামনে পুনর্বাসনের দাবিতে ধর্ণায় বসে পড়েন। জেলা প্রশাসন ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলির জন্য খাবার খাওয়ানোর পাশাপাশি স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করেন।
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2021/05/IMG-20210514-WA0184-500x281.jpg)
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গপছে, পড়াশকোল গ্রাম এলাকায় অনেক আগে কয়লাখনি ছিলো। সেখানে ইসিএল কয়লা উত্তোলনের পরে ভূগর্ভে বালি ভরাট সঠিকভাবে করেনি বলে অভিযোগ। যার ফলে এলাকায় ধস ও ফাটল হয়েছে। একই অবস্থা পাশের হরিশপুর গ্রামেরও। সেখানে ধসের কবলে পড়ে প্রায় একবছর ধরে বহু পরিবার ঘরছাড়া রয়েছে। ঐ গ্রামের বাসিন্দারা বিধানসভা ভোট বয়কট করেছিলেন পুনর্বাসনের দাবিতে।
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2021/05/IMG-20210514-WA0277-500x225.jpg)
এদিন ঐ গ্রামের বাসিন্দারাও পড়াশকোল গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে পুনর্বাসনের দাবিতে ধর্ণায় বসে পড়েন ।ক্ষতিগ্রস্থ পড়াশকোল গ্রামের বাসিন্দা মুনমুন দে বলেন , ইসিএল দিনের পর দিন বিস্ফোরণ করে কয়লা উত্তোলন করছে জামবাদ খোলামুখ কোলিয়ারিতে। ঐ বিস্ফোরণের ফলে আমাদের ঘরবাড়িতে ফাটল ধরছে। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি।
ইসিএলের কাজোরা এরিয়ার জিএম জয়েশ চন্দ্র রায় বলেন, খনির বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে গেছেন। ঘরছাড়া পরিবার গুলির কি ব্যবস্থা করা যাবে সেই সব বিষয়ে জেলাশাসকের সাথে আলোচনা করে সমাধান করা হবে। এই ধরনের ঘটনা আবার ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, অণ্ডাল থানার হরিশপুর ও পরাশকোল কোলিয়ারি এলাকার বেশ কিছু এলাকাবাসী বাংলোর সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। প্রশাসন বিষয়টি দেখছে।
মহকুমাশাসক অর্ঘ্য প্রসূন কাজি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ১০০ টি পরিবারের অন্যত্র থাকার ও তাদের খাওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। ব্লক ও পঞ্চায়েতের উদ্যোগে স্থানীয় একটি প্রাইমারী স্কুলে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা বিধি মেনে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে তিনটি স্কুলে তাদের থাকায় ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ইসিএল কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলাকা বাসিন্দার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সমস্যার সমাধান করবেন।
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি রুপেশ যাদব বলেন, এই ঘটনার জন্য ইসিএল দায়ী। আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য পুনর্বাসনের দাবি করেছি ইসিএল কর্তৃপক্ষের কাছে। দ্রুত তা করা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন করবো।