দেওঘরের দুই কিশোরীকে RPF উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিল
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল । মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটা হবে ।দুই কিশোরী আসানসোল স্টেশনের ( Asansol Station ) প্রধান গেটের কাছে ঘোরাঘুরি করছে। সেই সময় আরপিএফ (RPF) এর সাব ইন্সপেক্টর শুভ্রা দে তার সঙ্গে একাধিক কনস্টেবলদের নিয়ে স্টেশন প্লাটফর্ম ঘোরাঘুরি করছেন। হঠাৎ তার নজরে পড়লো ১৫ এবং ১৭ বছরের দুই কিশোরীকে। সন্দেহ হওয়ায় তাদের নাম জিজ্ঞাসা করলেন প্রথমে ।ওরা কিছু বলতে না চাইলেও পরে জানায় ওদের একজনের নাম সরস্বতী কুমারী। তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের দিনদাকুলি এলাকায়। অন্যজন উর্মিলা কুমারী। তার বাড়ি জামতাড়ার এক গ্রামে। দুজনের মধ্যেই পড়াশোনা এবং পারিবারিক কারণেই পরিচিতি আগে থেকেই ছিল।
ওরা কি করতে এখানে এসেছে। অনেক জিজ্ঞাসার পর তারা জানায় সোমবার তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে ট্রেনে করে আসানসোল এসে পৌঁছেছে। এখান থেকে দিল্লি গামী ট্রেন ধরে তারা দিল্লিতে যাবেন সেখানে অভিনয় করার জন্য। এরপর আরপিএফ এর ঐ সব ইন্সপেক্টর শুভ্রা দে পুরো ঘটনাটি প্রথমে তাদের উচ্চপদস্থ আধিকারিক কে জানান। তারপর দুজনের বাবার ফোনে তাদের জানান হয়।
দুজনের পরিবার থেকেই বলা হয় সোমবার এরা নিখোঁজ হওয়ার পর দুজনেরই স্থানীয় থানা এলাকায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। মনে করা হচ্ছে অভিনয় করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন সুযোগ পেয়ে ওরা হয়তো পড়াশোনার ভয়ে দিল্লিতে যাচ্ছিল। এটা যে ভুও তা কিন্তু ওরা জানেনা। মঙ্গলবার আড়াইটে নাগাদ তার পরিবারের লোকেরা এসে আসানসোল স্টেশনে পৌঁছলে এবং ঝাড়খন্ডের পুলিশের সাথে কথা বলে এই দুই কিশোরীকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দিল আর পি এফ বলে জানান আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার চন্দ্রমোহন মিশ্র। শেষ পর্যন্ত বাড়ি থেকে পালিয়ে ওদের অভিনয়ের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল।