YAAS মোকাবিলার জন্য কর্পোরেশনে গুরুত্বপূর্ন বৈঠক
কন্ট্রোল রুম নম্বর (AMC) 7479001875, (DISTRICT) 7719377433, 8653999902
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : করোনা আবহে ঘূর্ণিঝড় যশ (YAAS) এর মোকাবিলা করতে আসানসোল কর্পোরেশনে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের চেয়ারপারসন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় সভাপতিত্বে সোমবার একটি গুরুত্বপূর্ন বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে কর্পোরেশনের বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মেম্বার অভিজিৎ ঘটক, পূর্নশশি রায়, শ্যাম সোরেন, তাবাসসুম আরা, মীর হাসিম, অঞ্জনা শর্মা, দিব্যেন্দু ভগৎ সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ন আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।
দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুর্যোগ মোকাবিলা করবার জন্য একটি কন্ট্রোল রুম খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যেখানে মানুষ বিপদে পড়লে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফোন করে জানাতে পারবেন।
প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলায় আসানসোল কর্পোরেশনের কন্ট্রোল রুমের নম্বর হলো : ৭৪৭৯০০১৮৭৫.
কর্পোরেশনে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের চেয়ারপারসন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তারা ইতিমধ্যেই ওই বৈঠকে দুর্যোগ মোকাবিলায় ৫ টি গাছ কাটার মেশিন ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এছাড়া রেল দপ্তরকে কে চিঠি দেওয়া হয়েছে যাতে তারা পাবলিক এরিয়ায় যে সমস্ত গাছের শাখা প্রশাখা রয়েছে সেগুলি আগাম পরিষ্কার করে ফেলেন কারণ দুর্যোগ হলে মানুষকে অসুবিধের সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা ডব্লিউবিএসইডিসিএল কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন যাতে তারা বিশেষ টিম প্রস্তুত রাখেন বিদ্যুৎ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সরবরাহের জন্য কারণ বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন থাকলে জলের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়া প্রত্যেক বরোতে ইঞ্জিনিয়ার এবং এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের নম্বর দিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে তারা যোগাযোগ করে নিতে পারেন। এছাড়া কর্পোরেশনের নিকাশির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত স্টাফ কমিশনারের নির্দেশ মত তারা ড্রেন পরিষ্কার করবেন। এছাড়া প্রত্যেক বোরো তে একটি করে জেসিবি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এর কারণে যদি কারো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের জন্য আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ত্রিপলের ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার জন্য বেশ কিছু জায়গা যেমন স্কুল, সিনেমা হলকে নেওয়া হয়েছে যেগুলি স্যানিটাইজ করা হয়েছে এবং খাবার ব্যবস্থা ছাড়াও জেনারেটর প্রভৃতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। রূপকথা সিনেমা হল, সীতারামপুরে এবং বিভিন্ন জায়গা নেওয়া হয়েছে।
আমরা নিজেদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছি। কিছু জায়গায় অভিজিৎ ঘটক, কিছু জায়গায় পূর্নশশী রায়কেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যে সমস্ত পুরোনো বাড়ি অথবা যেসব বাড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে তাদেরকে ইতিমধ্যেই নোটিশ দেওয়া হয়েছে যেমন রানীগঞ্জের সাতটি এরকম বাড়িকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা ওই বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যান সেক্ষেত্রে প্রাণহানির সম্ভাবনা থাকবেনা। আসানসোল করপোরেশনের আওতাধীন অঞ্চলে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।”
এদিকে কর্পোরেশনে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মেম্বার অভিজিৎ ঘটক বলেন, “পশ্চিম বর্ধমান যেহেতু হাই এলার্ট জোনের মধ্যে পড়ে সেহেতু অতিরিক্ত সর্তকতা করপোরেশনের পক্ষ থেকে আমরা গ্রহণ করেছি। যেসমস্ত মানুষ কাঁচা বাড়িতে বসবাস করছেন তাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য ইতিমধ্যেই ” সেফ সেন্টার” তৈরী করা হয়েছে। সরকারি সমস্ত দপ্তর এর সাথে আমরা যোগাযোগ রাখছি সর্বক্ষণ যাতে মানুষের কোনো অসুবিধে না হয়। করপোরেশনে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে যাতে মানুষ কোনো দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলে তৎক্ষণাৎ কুইক রেসপন্স টিম সেই জায়গায় পৌঁছে মানুষকে উদ্ধার করতে পারেন।”
read also Cyclone Yaas পশ্চিমবঙ্গেই ল্যান্ডফল হবার সম্ভাবনা, কখন এবং কোথায় পড়বে প্রভাব দেখুন
বস্তুত উল্লেখ্য, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ঝড় ‘যশ’ পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলের (YAAS) দিকে এগিয়ে চলেছে। এটি ২৬ শে মে সন্ধ্যায় রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চলে “ল্যান্ডফল” করবে বলে আশা করা হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদফতর স্পষ্টভাবে বলেছে যে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপের অঞ্চল তৈরি হচ্ছে যা একটি ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
সেই নিরিখে সারা রাজ্যের সঙ্গে আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আপৎকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। (YAAS) জেলা প্রশাসনের হেল্পলাইন 7719377433, 8653999902।