ASANSOLBARABANI-SALANPUR-CHITTARANJANBengali News

সাংসদ বাবুলের দত্তক নেওয়া গ্রামে তৃণমূল বিধায়কের নির্দেশে করা হলো ত্রাণ শিবির

বেঙ্গল মিরর, সালানপুর, মনোজ শর্মা:-‘”ইয়াস”’ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সমুদ্র ও নদী বা ড্যামের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মধ্যে গ্রাম এবং বিভিন্ন এলাকায় যে সমস্ত সাধারণ মানুষ বসবাস করেন কাঁচা ও টালির বাড়িতে সে সব মানুষদের,সরকারের নির্দেশে সুরক্ষিত জায়গায় মানে পাকা বাড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।সরকারের উদ্যোগে অস্থায়ী ভাবে ত্রাণ শিবির করা হয়েছে এলাকার বিদ্যালয় গুলিতে তাছাড়া ক্লাবে ও কমিউনিটি হল গুলিতে।সেই জায়গায় তাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।


তাছাড়াও এ দুর্যোগের সময় নিজ উদ্যোগ নিয়েছে বারাবনি বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় তিনি বিভিন্ন ক্লাব ও কমিউনিটি হল গুলিতে থাকার ও খাবারের ব্যাবস্থা করেছেন।তা ছাড়া যাদের টালির বাড়ি রয়েছে তাদেরও জন্য ত্রিপলেরও ব্যাবস্থা করেছেন।
এমন দৃশ দেখা গেলো সালানপুর ব্লকের সিদাবাড়ি গ্রামে,এ গ্রামকে আদর্শ গ্রাম রূপে পরিণত করবেন বলে মন্তব্য করেছিলেন সাংসদ তথা কেন্দ্রমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় প্রথম বার লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পরেই পরেই সালানপুর ব্লকের এই সিদাবাড়ি পুরো গ্রামকে দত্তক নিলেন বলে ঘোষণা করেন।


কিন্তু এই সিদাবাড়ি গ্রামের অধিকাংশ মানুষের অভিযোগ হলো বিজেপির সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় শুধুমাত্র মুখে বলে যে এই সিদাবাড়ি গ্রামকে তিনি দত্তক নিয়েছেন কিন্তু কাজে করেন না। এই গ্রামের এক যুবতী ইন্দ্রানী সেন জানান যে ভোটের সময় বিজেপি নেতা মন্ত্রীদের সিদাবাড়ি গ্রামকে মনে পড়ে কিন্তু অসুবিধার সময় বা এই মহামারীর সময় তারা কেউ আসে না।এত বড়ো করোনা মহামারীতে একবারও দেখা মেলে নি সাংসদ তথা কেন্দ্রের মন্ত্রীর ।

এই গ্রামের জন্য যদি কেউ ভেবেছে বা উন্নয়ন করেছেন তিনি একমাত্র হলেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়,করোনা সময় যে ভাবে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না তাছাড়া আজ আমাদের এই গ্রাম ডিভিসি ড্যামের ঠিক একটু পাশে অবস্থিত রয়েছে এত বড় ঘূর্ণিঝড় উঠেছে আমাদের কাঁচা ঘরবাড়ি রয়েছে ভয়ে ভয়ে ছিলাম কিন্তু এই সময়ে সেই আমাদের সবার পাশে এসে দাঁড়ালেন বিধায়ক বিধান বাবু।


আমাদের যাদের মাটির টালির বাড়ি রয়েছে তাদের কথা মাথায় রেখে ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং এসেন,গ্রামের মোড়ের কমিউনিটি হলে ত্রাণ শিবিরের ব্যাবস্থা করেন ও সেখানে থাকার এবং খাবারের ব্যাবস্থা করেদেন।


এই প্রসঙ্গে ভোলা সিং বলেন যে সর্বদাই সমস্ত মানুষের সুখে দুঃখে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের কাজ করে যাওয়া হচ্ছে বিধান উপাধ্যায়ের মূললক্ষ্য তিনি সবার কথা ভাবেন তিনি দেখেন না কে বা কার দত্তক নেওয়া গ্রাম, তার লক্ষ্য হলো যে মানুষের পাশে থাকা।আজ পর্যন্ত সিদাবাড়ি গ্রামে সাংসদের দেখা পাওয়া যায়নি এই গ্রামের মানুষ জন জানেও না কবে তিনি শেষ এসেছিলেন তিনি কোনো উন্নয়ন এই গ্রামে করেননি আর করবেন না।কিন্তু বিধান উপাধ্যায় সর্বদাই থাকবেন।

Leave a Reply