স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ, ছুটে গেলেন বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়/ দীপ রঞ্জন ব্যানার্জি, আসানসোল, ৩১ মেঃ আসানসোলের রানিগঞ্জের আলুগড়িয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ উঠলো। রানিগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায় নিজেও মেনে নিয়েছেন যে, রানিগঞ্জ ব্লকের বিএমওএইচ না থাকায় কিছু মানুষ সেই সুুুযোগে এটা করেছে।
জানা গেছে, বিএমওএইচ ডাঃ মনোজ শর্মা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গত একমাস ধরে ছুটিতে ছিলেন। এরমধ্যেই আলুগড়িয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু বেনিয়ম নয়, এলাকার অনেক মানুষ অভিযোগ করছেন যে, কালোবাজারিও হয়েছে।
বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায় এই নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ অশ্বিনী কুমার মাজির কাছে অভিযোগ করেছিলেন। ছুটি শেষের পরে সিএমওএইচের নির্দেশে সোমবার আলুগড়িয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন বিএমওএইচ। পরে সেখানে আসেন বিধায়ক। তিনি গোটা বিষয়টি নিয়ে বিএমওএইচের সঙ্গে কথা বলেন। কোন রকম বেনিয়ম ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে না হয়, তা দেখার জন্য তিনি বিএমওএইচকে বলেন। বিএমওএইচ বিধায়ককে গোটা বিষয়টিতে এখন থেকে যাতে স্বচ্ছতা থাকে তারজন্য জন্য নজরদারি করার আশ্বাস দেন।
পরে বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায় বলেন, বিএমওএইচ না থাকায় সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কেউ এটা করছে। তা আমি জানার পরে সিএমওএইচকে বলেছিলাম। বিএমওএইচ চলে এসেছেন। তিনি সব দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, রাজ্য সরকার ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম করেছে। ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারদের এখন ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যাদের থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে, তাদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। যারমধ্যে সবজি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতা, দোকানদারের মতো মানুষেরা আছেন৷ এদের কাছ থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার একটা আশঙ্কা থাকে। তাই তাদেরকে দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক নীতি না করার জন্য বিধায়ক কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেন।