বার্নপুরে দামোদরের বুকে স্থায়ী ও পাকা সেতুর গড়ার উদ্যোগ বিধায়ক অগ্নিমিত্রার
কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী, সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ বাঁকুড়ার সাংসদ ও শালতোড়া বিধায়কের সাথে আলোচনার পরিকল্পনা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : দামোদর নদীতে বহু বছরের থেকে স্থায়ী ও পাকা সেতু নির্মানের দাবী এবার আশার আলো দেখেছে পশ্চিম বর্ধমানে বার্নপুর অঞ্চলে। ঘুর্নিঝড় ইয়াসের তাণ্ডব যখন রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলিতে চলছিল তখন বার্নপুর রিভার সাইডের কাছেই দামোদর নদীতে ভরা কোটালের ফলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সাথে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার সংযোগকারী বাঁশের তৈরী অস্হায়ী একমাত্র সেতুটি জলের তোড়ে ভেঙে পড়ে।
বস্তুত উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর আগে তৎকালীন অবিভক্ত বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার সাথে সংযোগ কারি দামোদর নদীর বুকে সেতু নির্মানের কথা বলেন কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রী রামবিলাশ পাশোয়ান। দীর্ঘদিন পর পুনরায় সেতু নির্মাণের বিষয় নিয়ে উদ্যোগী হলেন আসানসোল দক্ষিনের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল।প্রতিশ্রুতি দিলেন পাকা সেতু নির্মানের।
এদিকে সেতু ভাঙার পর পাকা ও স্থায়ী সেতুর দাবি নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেতুর অপরিসীম গুরুত্বের কথা বলেন এবং স্থায়ী পাকা সেতু নির্মানের দাবিও জানান তারা। মূলত এই সেতুটি নির্মান করা হলে উপকৃত হবেন তিন জেলার দিনমজুর থেকে সব্জি বিক্রেতা তো বটেই এর সঙ্গে সাধারণ মানুষ সহ অনেকেই।
এদিকে সোমবার সকালে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল রিভারসাইড এলাকায় ভেঙে পড়া সেতু পরিদর্শন করতে যান। তিনি জানান পশ্চিম বর্ধমান জেলা থেকে পুরুলিয়া বা বাঁকুড়া যাবার জন্য মানুষকে ৪৫ কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হয়। সেতুটি স্থায়ী ও পাকা হলে দুই জেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে। বহু মানুষ উপকৃত হবেন। ব্যবসাপাতির সঙ্গে সঙ্গে আর্থসামাজিক দিক থেকে দেখলে এই ব্রিজের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়া অগ্নিমিত্রা বলেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী, এলাকার সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, রাজ্যের দায়িত্ব প্রাপ্ত পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের সাথে আলোচনা করে এবং বাঁকুড়ার সাংসদ ও শালতোড়া বিধায়ক সবার সঙ্গে যৌথভাবে প্রয়োজনে সবাইকে নিয়ে দিল্লীতে গিয়ে সেতু যাতে শীঘ্রই নির্মান করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা বলেন।
তিনি বলেন সেতুটি হলে একদিকে যেমন তিন জেলার মানুষ উপকৃত হবেন ঠিক তেমনই অপরদিকে বিহারিনাথ পাহাড়কে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র আরো ভালোভাবে গড়ে উঠবে।
স্বাভাবিকভাবেই আসানসোল দক্ষিণের বিধায়কের মুখে এই উদ্যোগের কথা শুনে আশার বুক বাঁধছেন এলাকার মানুষ, ব্যবসায়ী সহ প্রতিবেশী জেলার মানুষেরাও।