BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

অসহায় বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ালেন বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র:- দেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধনুডি গ্রামের এক অসহায় বৃদ্ধা 70 বছর বয়সী রামলাল কিস্কু ওরফে হিরোহন্ডা যিনি ভিক্ষা করে নিজের পরিবার চালোনা করেন। শরীরে অক্ষম হয়ে পড়েছেন তিনি আর লকডাউনের জেরে ভিক্ষা করতে গেলোও করোনার ভয়ে কোনো মানুষ ভিক্ষা দিতে চাইনা।প্রচুর সমস্যায় দিন যাপন করে চলেছেন তিনি।স্থানীয় কিছু মানুষ কোনো কোনো দিন চাল ও ডাল দিয়ে সাহায্য করে রামলাল বাবুর মুখে খাবার তুলেদেন।


কিন্তু অনেক দিন না খেয়ে তাকে থাকতে হয় হয়।তার এমন দূর অবস্থার কথা লেফট ব্যাংকের নিবাসী বিরজু মণ্ডল নামক এক ব্যাক্তি সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরেন।সেই বিডিও দেখতে পান বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় সঙ্গে সঙ্গে তিনি নির্দেশদেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিংকে।বলেন রামলাল বাবুর বাড়ি গিয়ে তার অবস্থা দেখে নিতে।ভোলা সিংহের নির্দেশে বাথনবাড়ি ও সিদাবাড়ির তৃণমূল কর্মী বিমল গোরাই,অমর মণ্ডল ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুশান্ত হেমরম সহ কিছু কর্মীরা মিলে বৃহস্পতিবার দিন রামলাল বাবুর বাড়িতে আসেন এবং তার বাড়িতে ১০দিনের মত খাদ্যদ্রব্য তুলেদেন।


এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কর্মী বিমল গোরাই বলেন বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের নির্দেশে সালানপুর ব্লকের সাধারণ সম্পাদক ভোলা সিং আমাদের বলেন রামলাল বাবু খুব অসুবিধার মধ্যে জীবন যাপন করছেন।তার বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে এবং তার জন্য কিছু খাবারের ব্যবস্থা করতে।ওনার নির্দেশ অনুযায়ী আমরা সবাই মিলে তাদের বাড়ি এসেছি,ওনার যেকোনো অসুবিধায় আমরা সব সময় ওনার পাশে থাকবো।
বিধায়কের এই রকম উদ্যোগে খুব খুশি প্রকাশ করেন রামলাল বাবুর অসুবিধা কথাটি যিনি সো শ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করেন বিরজু মণ্ডল তিনি বলেন দিন কয়েক আগে ধনুডি গ্রামে ঘুরতে এসে রামলাল বাবুকে দেখতে পাই এবং তার এই অবস্থার কথা আমরা খারাপ লাগে তাই আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে তার বিডিও পোস্ট করি এত তাড়াতাড়ি তার পাশে বিধান উপাধ্যায়ের হাত পৌঁছাবে বুঝতে পারিনি আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি ওনার এই উদ্যোগে।


এই প্রসঙ্গে রামলাল কিস্কু বলেন খুব কষ্টে দিন যাপন হয় আমরা শরীর আর চলে না বলে কোনো কর্ম করতে পারি না,ভিক্ষা করে কোনো রকমে নিজের পেট ভরি, কিন্তু বর্তমানে করোনা মহামারী তাই কারও বাড়ি যেতে পারি না খুব কষ্ট হচ্ছিলো,কিন্তু আজকে আমার বাড়িতে তৃণমূলের কর্মীরা আসেন এবং চাল,ডাল,আলু,নুন সোয়াবিন বডি প্রভৃতি জিনিসপত্র তুলেদেয়।আমি ধন্যবাদ জানাই যে মানুষটি আমরা দুঃখের কথা গুলি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দিয়ে বিধায়কের কাছে পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে।আমি খুব খুশি যে বিধায়ক আমাকে আশ্বাস দিয়েছে যে কোনো অসুবিধায় তিনি সর্বদা তার পাশে থাকবেন।

Leave a Reply