ভ্যাক্সিনেশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর করা আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন বণিকসভার প্রতিনিধিরা
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যজুড়ে বণিক সভা সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে বৃহস্পতিবার যে বৈঠক করেছেন তাতে আসানসোলে জেলা শাসকের সাথে এ ডি ডি এর মিটিং হল থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন শিল্পাঞ্চল এর সমস্ত বণিকসভার প্রতিনিধিরা ।প্রধানত কিভাবে ভ্যাকসিন ওইসব ব্যবসায়ী, ছোটখাটো শিল্পপ্রতিষ্ঠান এবং তাদের কর্মীদের কাছে পৌছে দেয়া যায় তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর করা আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন ওই সংগঠনের উপস্থিত থাকা প্রতিনিধিরা।
ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স এর সভাপতি সুভাষ আগরওয়াল বলেন যেহেতু রাজ্য সরকার তার চাহিদা মতো ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না এবং রাজ্য সরকারকে বহু ক্ষেত্রে কিনে নিতে হচ্ছে। সেই জন্য বণিকসভা গুলির প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন কে আমরা শুধু সমর্থন জানাচ্ছি তাই নয় আমরাও সবাইকে বলছি এই কাজে এগিয়ে আসতে হবে । তার ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা বলতে পারি আমাদের বর্ধমান জেলায় কুড়িটি বণিক সভা আছে যেখানে ৫০০ ন্যূনতম সদস্য আছেন। এই সংখ্যা কোথাও কোথাও আরো বেশি। আমাদের যারা মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের সাথে যুক্ত সেইসব শিল্পের মালিকদের কে আমরা বলেছি তারা সরকারের এই উদ্যোগকে সার্থক করতে তাদের কর্মীদের টিকার যে মূল্য তা সরকারের কাছে পৌঁছে দেবেন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের সহযোগিতায় ব্যবস্থা করা হবে।
আমি আমার নিজের যে কারখানা আছে সেখানে ৯০০ শ্রমিকের জন্য ইতিমধ্যেই আলাদা করে সি আই আই দিল্লিতে অর্ডার দিয়েছি। যদি দেখি সেটা আসতে দেরি হচ্ছে এবং রাজ্যের ক্ষেত্রে টাকা দিয়ে আগে পাওয়া যাবে তাহলে। এখন থেকে আমরা কিনে নিয়ে তাদের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করব অপরদিকে আসানসোল চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শম্ভু ঝা বলেন আসানসোলের ছোট ব্যবসায়ীদের ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার বিনামূল্যে টিকা দেয়া শুরু করেছিল। গত মাসের শেষ চার দিনে শুধু আমাদের বণিকসভার মাধ্যমে আড়াইশো জনকে দেয়া হয়েছে ।এমন একাধিক চেম্বারে মারফত এই সংখ্যাটা বেশ ভালোই হবে। আপাতত টিকা দেওয়া বন্ধ আছে।
আমরা যারা একদম ছোট ব্যবসায়ী তাদেরকে সরকার যাতে বিনামূল্যে টিকা দেয় সেটা আমরা আবেদন করেছি জেলাশাসকের কাছে। আর যাদের কারখানা আছে তাদেরকে আমরা আজই জানিয়ে দিয়েছি তাদের কত কর্মচারী বা শ্রমিকের জন্য টিকা লাগবে তার তালিকা তৈরি করে জেলাশাসককে দিতে। জেলাশাসক জানাবেন কত টাকা লাগবে। ট সেই টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করব ।এছাড়াও আসানসোলের এক বেসরকারি হাসপাতালের সাথেও আমাদের কথা হয়েছে। তারাও সরকারের ঘোষিত যেদাম তার ওপর সার্ভিস চার্জ যতটা সম্ভব কম করে তারা আমাদের প্রয়োজনে টিকার ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। কিন্তু আমরা চাই সবার টিকাকরণ করা হোক।
অপরদিকে জামুরিয়া চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক। অজয় খৈতান বলেন শিল্প,কল কারখানা আমাদের এখানে যত আছে তাদের নিয়েই আমরা আগামী দু’দিনের মধ্যে বৈঠক করব। সব মিলিয়ে তাদের কত টিকা লাগবে তার পরিসংখ্যান তৈরি করে তারপর সেই টিকা আমরা কিভাবে পাব এবং কোথায় কত অর্থ দিতে হবে সবকিছু জেনে নিয়ে এগোবো । ভ্যাক্সিনেশন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বৈঠক করেছেন তার জন্য অবশ্যই তাকে অভিনন্দন। একদম গরীব-দুঃস্থ যারা পয়সা দিয়ে টিকা কিনতে পারবে না তাদের জন্য সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছে তাকেও আমি ব্যাক্তিগত ভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সরকারি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জেলার বিভিন্ন ব্লকগুলিতে এবং শহরের ছোটখাটো ব্যবসায়ী ,হকার যারা আছেন তাদের কিন্তু ইতিমধ্যেই বিনামূল্যে বেশিরভাগকেই টিকা দেয়ার কাজ হয়েছে।