ASANSOLFEATURED

ঐতিহাসিক বার্লিংটন হসপিটালের পুনর্জন্ম, কোভিড হসপিটালে হিসাবে নবরূপে ফিরে এলো

আসানসোলের ডিআরএম সুমিত সরকারের উদ্যোগে

শিক্ষক বিশ্বনাথ মিত্রের কলম থেকে

শিক্ষক বিশ্বনাথ মিত্র

আজ থেকে সার্ধ শতবর্ষ পূর্বে তৈরী হওয়া আসানসোল কয়লা শহরের প্রথম হসপিটাল যা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, সেই হসপিটালটি আবার  কোভিড হসপিটালে হিসাবে নবরূপে ফিরে এলো আসানসোলের ডিআরএম সুমিত সরকারের উদ্যোগে ৷ উল্লেখ্য, আসানসোলের রেলকর্মচারী ও আধিকারিকদের চিকিৎসার প্রয়োজনে ইস্ট ইন্ডিয়া রেল কোম্পানি 1869 খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করেছিল  বার্লিংটন হসপিটাল ৷ এটিই ছিল আসানসোল শহরে গড়ে ওঠা প্রথম কোন হসপিটাল ৷ 

প্রায় একশ বছর পর 1966 খ্রিষ্টাব্দে ডিভিশনাল রেলওয়ে হাসপাতালটি নির্মাণ হওয়া অবধি দীর্ঘ 97 বছর ধরে বার্লিংটন ক্রমাগত চিকিৎসা  পরিষেবা দিয়ে গেছে ৷ বার্লিংটনে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাবার পর হসপিটালের ঘরগুলি রেল কোয়ার্টার হিসাবেই ব্যবহৃত হয়ে আসছিল ৷ কিন্তু কোভিড অতিমারী প্রায় 56 বছর পর ফিরিয়ে আনল শহরের বিলুপ্ত হওয়া প্রথম হসপিটালটিকে ৷ গতকাল সুমিতবাবুর হাত ধরে  পিকাডিলির আর্ল অব বার্লিংটনের সুবিশাল প্রসাদের ক্ষুদ্র সংস্করণ সম এই রেল হেরিটেজ সৌধটি রূপান্তরিত হল 30 টি উন্নত বেডের আস্ত এক কোভিড হসপিটালে ৷ বার্লিংটন বিল্ডিং এর পূর্বতন 12 টি রুম এবং বড় সেন্ট্রাল হলটির পরিকাঠামোগত আরও উন্নতি ঘটিয়ে “COVID Recovery-cum-Isolation Center”  হিসাবে উদ্বোধন হল গতকাল ৷ 

অনুষ্ঠানে ডি আর এম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এ ডি আর এম এম.কে.মিনা, সিনিয়র ডি ই এন কৌশলেন্দ্র কুমার, চিফ সিকিউরিটি কম্যান্ডান্ট, সিনিয়র ডি এফ এম সহ প্রায় সকল উচ্চপদস্থ রেল আধিকারিকবৃন্দ ৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ড: এম. মাহাতা ( সি এম এস ) ড: বিশ্বজিৎ  ঘটক ( সিনিয়র কনস্যাল্টন ) ড: সমরজিৎ ভট্টাচার্য ( এ সি এম এস ) ড: বি.কে.চৌবে ( এ সি এম এস ) প্রমুখ ৷

উদ্বোধনের সাথে সাথে ফিরে এল উনবিংশ শতকের হারিয়ে যাওয়া চিকিৎসার স্মৃতি ৷ডক্টর’স চেম্বার, নার্সিং রুম, পেটেন্ট ওয়েটিং রুম, স্টোর রুম, সিকিউরিটি রুম, দুটি মোবাইল চার্জিং স্টেশন— সবকিছুর ব্যবস্থা এখানে রাখা হয়েছে ৷ 10 টি অক্সিজেন cylinders, 4 টি অক্সিজেন concentrator, 2 টি multi-para monitor এবং অন্যান্য যা  কোভিড চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন, সেইসব চিকিৎসা সামগ্রী— ৷  ডি আর এম সুমিত সরকারের ভাষায়, বার্লিংটনের এই রেল হেরিটেজ সৌধটি আসানসোল ডিভিশনাল রেল হসপিটালের ইউনিট হিসাবে নতুন করে শুধু পুনর্জন্ম হল তাই নয়, পাশাপাশি করোনার সেকেণ্ড ওয়েভ সামলে আসন্ন থার্ড ওয়েবকেও মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে ৷