বহু প্রতীক্ষিত কলকাতা-শিলিগুড়ি ৩৪ নং জাতীয় সড়কে ডালখোলা রেললাইনের উপরে ওভারব্রীজের কাজ শুরু হলো
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : অবশেষে উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় সড়ক সমস্যা সমাধান হবার পথ প্রশস্ত হচ্ছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বহু চর্চিত কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার অন্যতম রাস্তা ৩৪ নং জাতীয় সড়কে ডালখোলা রেললাইনের উপরে রেলওয়ে ওভারব্রীজের কাজ শুরু হলো। বাংলায় এনএইচএআই এর কাজ ধীর গতিতে চলছে। সেকারণেই দেবেশ সাহা ইতিমধ্যে এই বিষয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে। যা সম্পর্কে আদালত সময়ে সময়ে নির্দেশ দিচ্ছেন।
এই ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে ওই জনস্বার্থ মামলার পিটিশনারের সিনিয়র অ্যাডভোকেট কল্যাণ চক্রবর্তীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ” ডালখোলা রেল লাইনের উপরে ৩৪ নং জাতীয় সড়কের ওভারব্রীজের কাজ শুরু হওয়া অবশ্যই উত্তরবঙ্গে জাতীয় সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। হাইকোর্টের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি ডিরেক্টর, ডিআরএম কাটিহার ও এর তত্ত্বাবধানে দ্রুততার সাথে এই ওভার ব্রীজ নির্মাণ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা করে কাজ হবে। কারণ বহু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন এই রেললাইন দিয়ে চলাচল করে। ফলে এই কাজ বাস্তবায়িত করা বেশ মুশকিল ছিল । এই ব্যাপারে এর আগে উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক, ডিআরএম কাটিহার সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। এই উদ্যোগের জন্য তাদের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রয়েছে। হয়তো মাস দুয়েকের মধ্যেই সম্পূর্ন কাজ সম্পন্ন হবে। এটি হবার ফলে ওই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত হবে।”
বস্তুত উল্লেখ্য,দীর্ঘ দুই দশক ধরে ওই অঞ্চলের মানুষের দাবী ছিল যাতে ওভারব্রিজের কাজ দ্রুততার সাথে শুরু হয়। করোনা বিভিন্ন জটিলতার কারণে ওই ব্রিজের কাজ থমকে ছিল। এই ব্রীজ হবার ফলে যোগাযোগ যেমন দ্রুত হবে ওই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ বা এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। ইতিমধ্যেই রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার ২৫,০০০ কোটি টাকা দিয়েছে যা ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট এর কাজে ব্যবহৃত হবে।
জেনে রাখা ভালদেশের গতি আরও ত্বরান্বিত করার জন্য, কেন্দ্রীয় সরকার ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি (এনএইচএআই) কে তহবিল বরাদ্দ করতে এবং দেশের আন্ডার-কনস্ট্রাকশন এনএইচএসের নির্মাণ কাজ দ্রুত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার ২৫,০০০ কোটি টাকা দিয়েছে। কিছু রাস্তা ২০২০ সালের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছিল, তবে করোনার সংক্রমণের কারণে বিলম্ব হয়েছে, প্রকল্পটি ৭৮০ কিলোমিটারের অধীনে নির্মাণাধীন সড়কের সাথে রয়েছে। একই প্রকল্পের অধীন কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির মধ্যে ৬৫০ কিমি. রাস্তা রয়েছে। যার মধ্যে কলকাতা থেকে কৃষ্ণনগরে প্রায় ৯৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। এখন উত্তরবঙ্গের মানুষ সহ রাজ্যের সংবাদমাধ্যমের নজর থাকবে কত দ্রুত ওই ডালখোলা ওভারব্রীজের কাজ সম্পন্ন হয় এবং সাধারণ মানুষ এর সুবিধে ভোগ করতে পারেন।