ASANSOLBengali NewsKULTI-BARAKAR

মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে ৩৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়লো ডিভিসি

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল, ১৯ জুনঃ দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসির মাইথন সংলগ্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি হয়েছিলো। কিন্তু শুক্রবার রাত বারোটার পর থেকে সেই বৃষ্টির পরিমাণ কমে যায় । শনিবার বিকেলের পর থেকে আবারও বৃষ্টি শুরু হয় ঐ এলাকায় ।


একদিকে দামোদর উপত্যকা এলাকায় বৃষ্টি গত দুদিন ধরে বেশি হওয়ায় সেই জল মাইথন জলাধারে এসে জমা হয়েছে। তেমনিই তেনুঘাট থেকে জল ছাড়ায় সেই জল পাঞ্চেত জলাধারে এসে জমা হয়েছে। আর এর ফলে মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে ৩৮ হাজার কিউসেক জল শনিবার বিকেলে ছাড়া হয়েছে বলে ডিভিসি সূত্রে জানা গেছে। শুধুমাত্র মাইথনে জল বেড়ে যাওয়ার সেখান থেকে ২৪ হাজার ও পাঞ্চেত থেকে ১৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে ।


পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের জেলার প্রধান এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তমোজিৎ চক্রবর্তী এদিন বলেন, ডিভিসি আমাদেরকে জানিয়েছে তারা ৩৮ হাজার কিউসেক জল মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে শনিবার বিকেলের দিকে ছেড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এরজন্য সকলকে সতর্ক করেছি। জেলাশাসক নিজেই জেলার কন্ট্রোল রুমে এসে বসে গোটা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়েছেন।

অন্যদিকে, ডিভিসির চিফ ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল) সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, রাজ্য সরকার লিখিতভাবে ডিভিসিকে ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে। সেই অনুমতি পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় ওয়াটার কমিশনের নির্দেশ মতো এদিন ৩৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এদিন মাইথন জলাধারের জলস্তরের পরিমাণ বেড়ে ৪৮০ ফুট ও পাঞ্চেতে জলাধারের জলস্তরের পরিমাণ বেড়ে ৪১৫ ফুট হয়েছে। সত্যব্রত বাবু আরো বলেন, ২৩ হাজার কিউসেকের বেশি জল ছাড়লেই আমরা সবুজ সর্তকতা জারি করি। সেটা রাজ্য সরকারকে আগেই জানানো হয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ মাইথন এলাকায় এদিন অনেকটাই কমে মাত্র ৩০ মিলিমিটারে নেমে এসেছে। তাছাড়াও মাইথনে আরো ১৫ ফুট ও পাঞ্চেতে প্রায় ২০ ফুট জল ধরে রাখা যাবে। তবে এই মুহুর্তে আরো অনেক জল দুই জলাধার থেকে ছাড়তে হবে বলে এখনই তা মনে করছে না ডিভিসি কর্তৃপক্ষ।


কিন্তু শনিবার বিকেলের পর থেকে নতুন করে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সেই জল সোজা তামলা, গাড়ুই, নুনিয়া নদী হয়ে দামোদরে গিয়ে মিশবে। সেই জল সোজা দুর্গাপুর ব্যারাজে পৌঁছাবে। আর এরফলে ডিভিসির জলাধারগুলির উপর চাপ বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন

Leave a Reply