ASANSOL

এক লক্ষ চারা গাছ বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু আসানসোলে

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়/ কাজল মিত্র :
নজরুল সোশ্যাল সেন্টার কর্তৃক আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সহায়তায় আসানসোল শহরে এক লক্ষ চারাগাছ রোপণ করা হবে। এই চারা গাছ লাগানোর উদ্যোগ আসানসোলের জিটি রোডের আশ্রম মোড়ে থেকে শুরু হয়। শনিবার আয়োজিত একটি বিশেষ কর্মসূচিতে চেয়ারপারসন অমরনাথ চ্যাটার্জী, এডিডিএ চেয়ারম্যান তাপস ব্যানার্জি, সমাজসেবিকা সুদেষ্ণা ঘটক, কর্পোরেশনের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ডের চেয়ারপারসন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, কর্পোরেশনের মেম্বার – বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অভিজিৎ ঘটক, পূর্নশশী রায়, দিব্যেন্দু ভগত, মীর হাসিম, আসানসোল ( দক্ষিণ) থানার অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ চ্যাটার্জী প্রমুখ। সম্পূর্ন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রাক্তন এম এম আই সি রবিউল ইসলাম।

ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত কর্পোরেশনের বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের চেয়ারপারসন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন,”সারা শিল্পাঞ্চল জুড়ে গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানকার সদস্য এবং কর্পোরেশনের এমএমআইসি যারা ছিলেন তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই এই উদ্যোগের শুভ সূচনা হলো। আমাদের শহরে যাতে অক্সিজেনের ঘাটতি না হয় সে কারণেই এই উদ্যোগ।এর সঙ্গে শহরের সৌন্দর্যায়ন হবে। তিনি বলেন গাছ আমাদের পরম বন্ধু,আমাদের বেঁচে থাকার অন্যতম মাধ্যম গাছ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় একটি দেশের মোট ভূখণ্ডের ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন কিন্তু আমাদের তা নেই। এই ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ড মেম্বার অভিজিৎ ঘটক বলেন,” শিল্পাঞ্চলে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই প্রাকৃতিক অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে গাছ লাগানো উচিত। নজরুল সোশ্যাল সেন্টার এবং কর্পোরেশনের যৌথ সহযোগিতায় এই উদ্যোগ নেওয়া হলো। আমাদের সঙ্গে প্রাক্তন এমএমআইসি রবিউল ইসলাম রয়েছেন। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এদিকে রানীগঞ্জের বিধায়ক এবং এ ডি ডি এ চেয়ারম্যান তাপস ব্যানার্জী এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। ওই অনুষ্ঠানে সমাজসেবী সুদেষ্ণা ঘটক, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বোর্ডের মেম্বার অভিজিৎ ঘটক বৃক্ষরোপণ করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।

Leave a Reply