ডামরায় ফুটবল বিতরণ করলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা, বললেন মেসি আমার প্রিয় খেলোয়াড় এবং মোহনবাগান প্রিয় ক্লাব,ভ্যাকসিন কাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়: আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিধায়ক এবং বিজেপি মহিলা মোর্চা রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল শনিবার আসানসোলের ডামরা গ্রামের কিশোর ও যুবকদের খেলার উৎসাহ বাড়ানোর স্বার্থে ফুটবল, খেলার সামগ্রী ও কিট দান করেন। এই উপলক্ষে এদিন ডামরা হেল্থ সেন্টার ময়দানে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই ব্যাপারে অগ্নীমিত্রা পাল বলেন,” এই এলাকার যুবকরা ফুটবল খেলার জন্য অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছিলো খেলার সামগ্রীর জন্য। তাই তারা তাদের সমস্যার কথা আমাকে বলে। আমি সেইমতো তাদের জন্য খেলার সামগ্রী নিয়ে এসে তাদের দিলাম। মেসি আমার ফেভারিট ফুটবলার ও মোহনবাগান আমার প্রিয় ক্লাব। আমার দুই ছেলেও ফুটবল খেলে। আমি ফুটবল ও সরঞ্জাম ওদের হাতে দেওয়ার পর বললাম মেসির মতো ওদের খেলতে হবে। পরবর্তীকালে কোন ফুটবল ম্যাচ হলে পরে অবশ্যই যাতে তারা আমাকে বলে।”
ফুটবল, জার্সি ও খেলার সামগ্রী পেয়ে স্বভাবতই খুশি এলাকার কিশোররা।দশম শ্রেণীর পড়ুয়া কিশোর চন্দন মাহালি বলে যে,” আমরা ভীষণ খুশি বিধায়কের কাছ থেকে ফুটবল ও খেলার সামগ্রী পেয়ে। আমি ও আমার বন্ধুরা নিয়মিত ফুটবল খেলি। আমাদের ফুটবল ও ফুটবল খেলার সরঞ্জাম অনেকদিন ধরেই দরকার ছিল। আজ দিদি আমাদের এই চাহিদা পূর্ন করেছেন। এরজন্য সকলের পক্ষ থেকে দিদিকে ধন্যবাদ জানাই। ফুটবল খেলে আরো ভালো জায়গায় যেতে চাই। দিদির মত আমরাও মেসির ফ্যান।ভবিষ্যতে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও যদি কোনো অসুবিধের সম্মুখীন হই অবশ্যই সবাই দিদিকে জানাবো।”
চন্দন ছাড়াও ফুটবলের সরঞ্জাম পেয়ে খুশি প্রেম মাহালি ,রোহিত মাহালি,
দিলীপ মাহালি,বিকাশ মাহালিরা।
এদিন এক প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি বিধায়ক বলেন এই এলাকার কাছেই নামো জামডোবা গ্রামে স্বাধীনতার এত বছর পরেও বিদ্যুৎ আসেনি। সেখানে শুধু সৌরবিদ্যুৎ রয়েছে। যা সত্যিই লজ্জাজনক। আমি অবশ্যই এই ব্যাপারে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলব।
বাংলা রাজনীতির এই মুহুর্তে তোলপাড় ফেলে দেওয়া ভুয়ো ভ্যাকসিন ও ভুয়ো আইএএস অফিসার কাণ্ডে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন অগ্নিমিত্রা পাল।
তিনি বলেন, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে ওই ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্তের ছবি রয়েছে। পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তির ফলকে সমস্ত হেভিওয়েট ব্যক্তিদের সঙ্গে তার নাম রয়েছে। রাতারাতি ফলক তুলে ফেলেও কি সব কিছু চাপা দেওয়া যায়। এখন ডিজিটাল মাধ্যমের যুগ। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কিভাবে এই ব্যাপার অস্বীকার করে।
এছাড়া শুক্রবার বিজেপি রাজ্য দপ্তরে কালা দিবস উপলক্ষে রাজ্য মহিলা মোর্চার সদস্যদের মিছিল করে এগিয়ে যেতে গেলে বন্ধ দেয় পুলিশ। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, ” রাজ্যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। এখানে সাংবাদিকদের পর্যন্ত সত্যি কথা বলার স্বাধীনতা নেই। গতকাল কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের কলকাতায় কালা দিবস মিছিল এগিয়ে নিয়ে যেতে বন্ধ দেয় পুলিশ।
ফুটবল ও খেলার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত
ছিলেন ২১৫ নং বুথের শক্তি কেন্দ্র প্রমুখ পিন্টু চক্রবর্তী,২১৫ নং বুথ সভাপতি অভিজিত চক্রবর্তী, ২১৪ নং বুথ সভাপতি
নরেশ মাহালি , আসানসোল দক্ষিণ ৩ নম্বর মণ্ডলের যুব মোর্চার সহ -সভাপতি আকাশ ঘোষ সহ আরো অনেকে।