রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : আবার মামলার ফাঁসে উচ্চপ্রাথমিক।
শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াতে আবারও আইনী জট। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়েছিল। এর ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট আপাতত উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে।



তবে একদিন আগে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছিল যে পুজোর আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে। এবার আদালতের নির্দেশে ১৪ হাজার ৩৩৯ টি পদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ৯ ই জুলাই। মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই নিয়োগ তালিকাতেই অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ তালিকাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট তাদের দায়ের হওয়া মামলাতেই এদিন অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ আদালতের। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, ইন্টারভিউয়ের তালিকায় মোট নম্বরের উল্লেখ নেই। মামলাকারিদের আইনজীবী ফিরদৌস শামীম বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ হচ্ছে না”। অনেক লোক বেশি নম্বর পেয়েও ইন্টারভিউয়ের জন্য কল পাচ্ছেন না।
তাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগপ্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) বুধবার বিকেলে জরুরি বৈঠক করছে। পরবর্তী সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সেখানেই আলোচনা করা হবে। রাজ্যের প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ আইনগত কারণে অনেক বছর ধরে স্থগিত ছিল। ২১ শে জুন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে ১৪ হাজার আপার প্রাইমারি শিক্ষক পুজোর মধ্যেই নেওয়া হবে। ১০ হাজার ৫০০ পার্শ্ব প্রাইমারি শিক্ষক পুজোর মধ্যেই নেওয়া হবে। ৭ হাজার ৫০০ প্রাথমিক শিক্ষক মার্চের মধ্যে নিয়োগ করা হবে। সবমিলিয়ে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে বোর্ড। বলা হয় যে যারা মেধার ভিত্তিতে পাশ করবেন তারা সকলেই নিয়োগপত্র পাবেন। কিন্তু রাত পোহাতেই নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার আইনী জটে আটকে গেল।