BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

ধনুড়ি গ্রামের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন শিল্পপতি সুভাষ আগরওয়াল

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- সালানপুর ব্লকের দেন্দুয়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত একমাত্র গ্রাম ধনুডি যেটি জঙ্গল ঘেরা আদিবাসী প্রধান গ্রাম।সরকারি বহু সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই গ্রামে নজর কারো নেই গ্রামেই রয়েছে সবুজ গাছপালায় ঘেরা ৪১ টি মাটির ঘর।সরকারি ইন্দ্রাবাস কিংবা বাংলা আবাস যোজনা কিছু কিছু পরিবারের মিললেও বহু পরিবার বঞ্চিত রয়েছে । তবে কোরোনা মহামারীর এই দুঃসময়ে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাসক বিভু গােয়েল মহাশয়ের নির্দেশে জেলার বিভিন্ন ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ- এর সাথে একটি বৈঠক করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে জেলাশাসক শিল্প সংস্থাগুলিকে এই জেলার আটটি ব্লকের পিছিয়ে পড়া গ্রামের সার্বিক উন্নয়নে সহযােগিতা করার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ।


সেই অনুসারে জেলাশাসক এর আবেদনে সারা দিয়ে জামুড়িয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ , রানীগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স এবং ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এগিয়ে এসেছিল । যদিও এই জেলায় চব্বিশটি ব্যবসায়ী সংগঠন সক্রিয় আছে । তাদের সকলেই যাতে এগিয়ে আসেন সেই আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন জেলাশাসক ।আর তাই সালানপুর ব্লকের দেন্দুয়া পঞ্চায়েতে মাইথন ঘেঁষা এই বুধুডি গ্রামটির বিশেষ উন্নয়নের দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিলেন অন্যতম প্রতিষ্ঠিত শিল্প সংস্থা মাইথন এ্যলয়।তিনি নিজেদের সিএসআর প্রকল্পের অর্থ থেকে ধনুডি গ্রামের সার্বিক উন্নয়নের কাজে লাগাবেন।

বৃহস্পতিবার ১লা জুলাই মাইথন এ্যলয় কর্নধার সুভাষ আগরওয়াল নিজে বুধুডি গ্রাম এলাকা ঘুরে দেখেন। তার সঙ্গে ছিলেন সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী কর্মকার ঘাসি,বিডিও অদিতি বসু, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মােঃ আরমান , সমিতির সহ – সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র , দেলুয়া পঞ্চায়েতের প্রধান সিমুলা মারান্ডি , উপপ্রধান রঞ্জন দত্ত প্রমুখ ।

তিনি গ্রাম ঘুরে গ্রামের অবস্থার কথা দেখে এই গ্রামে সাতটি স্ট্রিটলাইট বসানাে ছাড়াও গ্রামের মধ্যে থাকা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটিকে পূর্ণ সংস্কার করা , পানীয় জলের সমস্যা মেটানাের জন্য দুটি সাবমারসিবল বসানাে, স্কুলের সামনে সরকারি জমিতে শিশুদের খেলাধুলার জন্য একটি পার্ক তৈরি করে দেবার কথা বলেন মাইথন এ্যলয় কর্নধার সুভাষ বাবু এছাড়াও তিনি গ্রাম ঘুরে দেখার সময় গ্রামের একটি নির্মীয়মান মন্দির অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে দেখেন সঙ্গে সঙ্গে তিনি মন্দিরটিকেও সুন্দর ভাবে তৈরি করে দেবার আশ্বাস দেন।এছাড়া ধনুডি গ্রামের পাশেই সরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা মাটির সৃষ্টি প্রকল্পকে আরো সুন্দর গড়ে তুলতে সরকারের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে ওই অঞ্চলে যত গাছ লাগানাের প্রয়ােজন হবে তার সংস্থা সেই গাছ লাগাবে এবং তার পরিচর্যা করে দেবে সেকথাও জানান।শিল্প সংস্থার এই উদ্যোগে প্রশাসনের সঙ্গে সঙ্গেই গ্রামবাসীরাও অত্যন্ত খুশি ।

Leave a Reply