ASANSOLRANIGANJ-JAMURIA

ধৃত ৬ জন বিহারের বাসিন্দা, পাঞ্জাবিমোড় ফাঁড়ির পুলিশ হদিশ পেলো আন্তঃরাজ্য কেপমার চক্রের, তিনটি হাই স্পিড মোটরসাইকেল উদ্ধার

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১০ জুলাইঃ তিনটি হেভি পিকআপ মোটরবাইক সহ বিহার থেকে আসা আন্তঃরাজ্য কেপমারি চক্রের একটি দলের হদিশ পেলো আসানসোলের রানিগঞ্জ থানার পাঞ্জাবীমোড় ফাঁড়ির পুলিশ। শুক্রবার পুলিশ গ্রেফতার করেছে ঐ চক্রের ৬ সদস্যকে । ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কিছু সিম কার্ড, মোবাইল ফোন, সোনা চকচক করার পাউডার সহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে । শনিবার ঐ ৬ জনকে আসানসোল আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশের আবেদন মেনে আদালতের বিচারক জামিন নাকচ করে তাদেরকে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এসিপি (সেন্ট্রাল) তথাগত পান্ডে।


ধৃতদের জেরা করে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান কোন বড়োসড়ো ঘটনা ঘটানোর উদ্দেশ্য নিয়ে এই দলটি ডেরা বাঁধতে এসেছিল আসানসোল রানিগঞ্জ খনি এলাকায় । পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই দলের ৫ জন বিহারের কুখ্যাত এলাকা হিসেবে পরিচিত কাটিহার জেলার ফালকা থানার সেলেমি গ্রামের বাসিন্দা । অন্য একজন ঐ একই জেলার বারোণী থানার সাকার আলি মিলিকা তলা গ্রামের বাসিন্দা।


পুলিশ কাছে শুক্রবার খবর আসে বিহার নম্বরের তিনটি হাই পিকআপের মোটরবাইক নিয়ে বেশ কয়েকজন যুবক রানিগঞ্জ থানার মঙ্গলপুর এলাকায় ঢুকেছে। এরপর শুক্রবার দুপুরে পাঞ্জাবীমোড় পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা অফিসার ইনচার্জ সৌমেন বন্দোপাধ্যায় হঠাৎ লক্ষ্য করেন মঙ্গলপুরে একটি পেট্রোল পাম্পের কাছ থেকে দুটি সামনেও একটি পিছনে চলা বাইক জঙ্গলের দিকে গতি বাড়িয়ে এগোচ্ছে। পুলিশ তাদের তাড়া করলে চালকরা গতি বাড়িয়ো পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলে ধরে । তিনটি বাইক থেকে ছয়জনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ । ধৃতদের নাম হল ফলকা থানার রাজু সাহ, পাপু মন্ডল, পঙ্কজ সাহ, গুড্ডু মন্ডল, সঞ্জয় সাহ। সরবন কুমার বারোণী থানার সাকার আলি মিলিকা তলার গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এদের কাছ থেকে প্রায় দশটি মোবাইল ফোন, ,বেশ কিছু সিম কার্ড ও গোল্ডেন বা সোনার রঙের পাউডার উদ্ধার করা হয়।


প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, এই চক্রটি কোন বাড়িতে মহিলাদের একা পেলে সোনার গহনা পরিষ্কার করার নাম করে আসল গহনা নিয়ে পাল্টে নকল দিত। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে তারা ডাকাতির পরিকল্পনা বা আরো বড় কোন অপরাধের পরিকল্পনা করে বিহার থেকে রানিগঞ্জে এসেছিল। এমনও হতে পারে, থাকাট জন্য তারা ভাড়া বাড়ি খুঁজছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অনেক তথ্য মিলবে। এদের সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত আছে কিনা তাও জানা যাবে ধৃতদের জেরা করে ।

Leave a Reply