আসানসোল-দূর্গাপুর শিল্পাঞ্চলকে বাঁচাতে আরো বেশি করে গাছ লাগানোর আহ্বান, জেলা প্রশাসনের বনমহোৎসবের সূচনা
বেঙ্গল মিরর,রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল, ১৭ জুলাইঃ আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের মত যেসব শিল্প এলাকা আছে সেখানে আগামী দিনে অক্সিজেনের কারণে যাতে অস্তিত্বের সংকট না হয় সেই জন্যই বেশী মাত্রায় গাছ লাগানো জরুরি বলে বারবার বলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী আরো বেশি করে গাছ লাগানো ও তাকে সংরক্ষণের জন্য আহ্বান জানালেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক বিভু গোয়েল ।
শনিবার আসানসোলের জামুড়িয়ার চুরুলিয়া কাজি নজরুল মহাবিদ্যালয়ে জেলা বনমহোৎসব অনুষ্ঠানের উদ্বোধন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলাশাসক আরো বলেন, গাছকে না বাঁচাতে পারলে আমাদের আগামী দিনে নানান ধরনের অসুখ দেখা দিতে পারে। গাছ থেকেই প্রকৃত অক্সিজেন মিলবে। এটা মনে রাখতে হবে ।
কনজারভেটর অফ ফরেস্ট কল্যাণ দাস বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বিপর্যয়ের সঙ্গে নানা ধরনের রোগের পরিমাণ বাড়ছে । করোনা অতিমারিতে আমাদের অক্সিজেন খুঁজতে হচ্ছে । অক্সিজেন পার্লার তৈরি করতে হচ্ছে। আসলে আমাদের গাছকে বাঁচাতে হবে প্রকৃত অক্সিজেনের জন্য ।
জেলার ডিএফও নীলরতন পান্ডা বলেন, যেহেতু এই জেলায় শিল্প ও কয়লা খনি অনেক আছে, তাই আরো বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। সরকারি নিয়ম না মেনে কোনরকম গাছকাটা যাবে না। তিনি আরো বলেন, শুধু পঞ্চায়েত নয় যারাই গাছ লাগাচ্ছেন তাদের গাছ রক্ষা করার ক্ষেত্রেও একটা ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রতি হেক্টরে আমরা এক হাজার করে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা এই জেলার প্রায় সাড়ে চারশো হেক্টর বন ভূমিতে নিয়েছি। যেসব জায়গায় গাছ কেটে কয়লাখনি করা হচ্ছে সেখানে গ্রীন উইংয়ের মাধ্যমে ঐ কয়লাখনি সংস্থাকে গাছ লাগাতে হবে বলেও তিনি জানিয়ে দেন ।
এদিনের এই অনুষ্ঠানে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুভদ্রা বাউরি , আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর, জামুড়িয়া ও বারাবনির দুই বিধায়ক হরেরাম সিং ও বিধান উপাধ্যায় সহ প্রশাসনিক আধিকারিক, অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও অধ্যাপকরা উপস্থিত ছিলেন।