ASANSOL

রাত ৯ টার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোলে জেলাশাসককে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ

বেঙ্গল মিরর ,সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : এখন রাত ৯ টার পরে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নাইট কারফিউ অনুসরণ না করা হলে জেলা প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। রাজ্য সচিবালয় নবান্ন থেকে শনিবার রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসককে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন রাজ্য সরকার জারি করা বিধিনিষেধ অনুসারে, খুব জরুরী না হলে রাত ৯ টার পরে বাড়ি ছেড়ে বেরোনো যাবেনা । এই নিয়ম ভোর ৫ টা পর্যন্ত চলবে। এবার যদি কেউ নিয়ম না মানেন তবে জেলা প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বড় ধরণের জরিমানাও হতে পারে।

১৪ ই জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর নতুন নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে যে রাজ্য সরকার কয়েকটি জায়গায় ছাড় দিয়েছে, তবে এখনও জরুরি অবস্থা ছাড়া রাত ৯ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত সবকিছু বন্ধ রাখার নিয়ম রয়েছে। তবে নবান্ন মনে করে যে এই নিয়ম যথাযথ অনুসরণ করা হচ্ছে না।
শনিবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী একটি বৈঠক করেন। রাজ্যের সমস্ত জেলা শাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এতে উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে বলা হয়, নাইট কারফিউ বাস্তবায়নের জন্য প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি কেউ নিয়ম না মানেন তবে তাকে জরিমানা দিতে হবে। চিফ সেক্রেটারি রাজ্যের সব জায়গায় নাকা চেকিং জোরদার করার নির্দেশও দেন।

সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শনিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে রাজ্যে করোনার তৃতীয় তরঙ্গের আগে কীভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। দোকান খোলা থাকুক বা না থাকুক না কেন, নির্ধারিত সময়ের বাইরে কেউ দোকান খুলছে কিনা, সব বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশিত নির্দেশিকা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতেও বলা হয়।

নবান্ন থেকে কেবল কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশই দেওয়া হয়নি, জেলাগুলিতে সাধারণ জনগণকে সচেতন করার কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে নিয়মিত আলোচনা জারি রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া বলা হয়েছে যারা নিয়ম পালন করেন না তাদের সতর্ক করতে সেই সংগঠনগুলোকে ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরসঙ্গে মাইকিং এর মাধ্যমে নতুন বিধিনিষেধ এবং নাইট কারফিউ এর প্রচার চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

Leave a Reply