ASANSOL

পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জেলা তৃণমূল লিগাল সেলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : শনিবার আসানসোল ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের সামনে থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল লিগ্যাল সেলের পক্ষ থেকে আইনজীবীরা মুদ্রাস্ফীতি এবং পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয় এবং সেটি আসানসোল রবীন্দ্র ভবনের সামনে এসে শেষ হবার পর সেখানেই একটি সভা হয়। ওই মিছিলে নরেন্দ্র মোদী-নেতৃত্বাধীন শাসন ব্যবস্থায় মুদ্রাস্ফীতি এবং পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। ওই বিক্ষোভে মূলত উপস্থিত ছিলেন মনিপদ্ম ব্যানার্জি, , স্বরাজ চ্যাটার্জী,মুনির বেগ,সোমনাথ চট্টরাজ, অভিজিৎ মুখার্জি, মিতা মজুমদার, এনামুল হক, প্রমোদ সিং, নয়ন ঘোষ, তারিক আনজুম, ফিরদৌস আলম, দুর্গা রায়, দেবশ্রী মজুমদার, অয়নজিত ব্যানার্জী সহ বহু আইনজীবী।

রবীন্দ্রভবনের সামনে প্রতিবাদ সভায় জ্বালানির দাম ও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর জন্য সরাসরি মোদী সরকারকে নিশানা করা হয়। ওই সভায় সরকারের কোষাগার পূর্ন করার জন্য জ্বালানির উপর ট্যাক্স বসানোর অভিযোগ তোলা হয় এবং সরকারকে জ্বালানী ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলিতে আমদানি শুল্ক কম করার দাবি জানানো হয়। এছাড়া কেন্দ্রকে দাবি জানানো হয় যে গার্হস্থ্য ব্যবহারের জিনিসপত্রে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) যুক্তিসঙ্গত এবং সহজ করার জন্য।
আসানসোল জেলা আদালতের পিপি ইনচার্জ স্বরাজ চ্যাটার্জী বলেন, আমরা জ্বালানির উপর যে শুল্ক বলবৎ রয়েছে তাতে বৃহত ছাড় চাই, প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক হ্রাস করতে হবে।


ওই সভায় বলা হয় দেশের সমস্ত রাজ্য থেকে বিজেপির লোকসভা সদস্যরা, বিশেষত আসানসোলের সংসদ সদস্য, যারা সাধারণ মানুষকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে দিল্লী, কলকাতা, মুম্বইতে পড়ে রয়েছেন। ওই সভায় দাবি করা হয় যে কেন্দ্রীয় সরকার কেবলমাত্র পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর ট্যাক্স থেকে গত বছর প্রায় ৪.২২ লক্ষ কোটি টাকা জোগাড় করেছে।
বলা হয় ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) সরকার তার শাসনকালে পেট্রোলের জন্য প্রতি লিটারে ৬.৪৫ টাকা শুল্ক সংগ্রহ করত এবং রাজ্যগুলিকে প্রতি লিটারে তিন টাকা দিত। এখন বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি) সরকার নাটকীয় উপায়ে জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে, তবু এখনও রাজ্য সরকারকে প্রতি লিটারে তিন টাকা দিয়ে চলেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের আইনমন্ত্রীর ভুয়সী প্রশংসা করা হয়।

ওই সভায় এক প্রবীণ আইনজীবী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে অনেক কল্যাণমূলক পরিকল্পনা চলছে এবং রাজ্যের আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে আসানসোলে উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে। তবে করোনার সময়কালে বিজেপির সাংসদ আসানসোল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এছাড়া দুজন বিধায়ককেও দেখতে পাওয়া যায়নি, তবে সেক্ষেত্রে মন্ত্রী মলয় ঘটক তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আসানসোলের মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।