ASANSOLKULTI-BARAKAR

মাইথনে পর্যটকদের কোভিড বিধি মেনে চলার জন্য প্রশাসনের কড়া নির্দেশিকা ও সচেতনতা প্রচার

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :
করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিম বর্ধমানের মাইথন পর্যটকদের তেমন ভিড় না থাকলেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা একটু কমতেই এবং কোভিডবিধি একটু শিথিল হতেই কলকাতা ও শহরতলি থেকে বেশ কিছু পর্যটক পাড়ি দিচ্ছেন পশ্চিম বর্ধমানের মাইথনে। এই পরিস্থিতিতে কোভিড-বিধি কড়া ভাবে মেনে চলার জন্য এলাকার সরকারি, বেসরকারি হোটেল ও লজ কর্তৃপক্ষকে এবং ব্লক প্রশাসনের কাছে রাজ্যের সতর্কতা-বিধি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

মাইথন,কল্যাণেশ্বরী মন্দির, নৌকাভ্রমণ বরাবরই পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য।বর্ষায় মাইথন জলাধার থেকে দামোদরে জল ছাড়ার দৃশ্যও দেখতে আসেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে বহিরাগতদের হোটেলে ঘর-ভাড়া দেওয়ার আগে সরকার নির্দেশিত কোভিড-বিধি মেনে চলতেই হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, ‘‘সরকার একটি স্থায়ী সতর্কতা-বিধি পর্যটনকেন্দ্রগুলির জন্য জারি করেছে। তা আমরা সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছি।’’ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সব পর্যটক আসছেন, তাঁদের কোভিড টিকা নেওয়ার শংসাপত্র আছে কি না, করোনার কোনও উপসর্গ আছে কি না, হোটেলগুলিতে করোনা-বিধি ঠিক মতো মানা হচ্ছে কি না, সে সব বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে টুরিস্ট লজে, অনলাইনে ঘর ‘বুকিং’ করে আসা পর্যটকদের থেকে প্রথমেই কোভিড টিকা নেওয়ার শংসাপত্র চাওয়া হচ্ছে। একটি লজের এক আধিকারিক জানান, লজের অর্ধেক সংখ্যক ঘরই বুক করা যাচ্ছে ।
মাইথনে প্রায় ২৯টি বেসরকারি হোটেল ও লজ রয়েছে। তাঁরা এই সরকার নির্দেশিত কোভিড বিধি কঠোর ভাবে মানছেন বলে দাবি করেন ‘মাইথন হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক মনোজ তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘‘হোটেলগুলিতে পূর্ণ ক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক পর্যটককেই রাখা হচ্ছে। পর্যটকদের নামের তালিকা প্রতি দিন স্থানীয় থানায় জমা করতে হয়। তাই কোভিড-বিধি উপেক্ষিত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।’’

কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে পর্যটকরা কোভিড বিধি তোয়াক্কা না করে মাক্স না পরেই ঘুরছেন। আর এজন্যেই এই বিষয়টি নিয়েও চলছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে সচেতনতা প্রচার ।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *