নতুন করে বাংলা ভাগ কেউ মানবেন না, ভ্যাকসিন পলিসি না করায়, কেন্দ্র সরকারের সমালোচনায় কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য
বেঙ্গল মিরর,রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৫ জুলাইঃ নতুন করে বাংলা ভাগ পশ্চিমবঙ্গের কোন মানুষ মানবেন না। একইভাবে ফোনে আড়ি পাতায় নিন্দা ও ভ্যাকসিন পলিসি না করায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। রবিবার আসানসোলের কুমারপুরের একটি হোটেলে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় কমিটির (এআইসিসি) সদস্য সদ্য প্রয়াত হওয়া বাপি ওরফে সিদ্ধার্থ দাসগুপ্তর এক স্মরণ সভায় যোগ দিতে আসেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। এই অনুষ্ঠানে আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, আকাশ মুখোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা হরজিৎ সিং, প্রসেনজিৎ পুইতুন্ডি সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলার কেউ আর ভাগ মানবেন না। কেউ বলছে উত্তরবঙ্গকে আলাদা করা হোক। দক্ষিণবঙ্গকে আলাদা করা হোক। এটা উত্তর বঙ্গের ও দক্ষিণবঙ্গের মানুষ মেনে নেবেন না। এটা আমরা কোনদিন মানবো না। আমরা চাই উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন হোক। কেন্দ্র সরকার ঝাঁপিয়ে পড়ুক। জন বার্লার তো এখন অনেক দায়িত্ব। তিনি এখন মন্ত্রী। তিনি দিল্লিকে বলে উত্তর বঙ্গের উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্যাকেজ তৈরীর ব্যবস্থা করুন। সেই প্যাকেজের টাকা ব্যবহার করে উন্নয়ন করা হোক। কেউ যদি মনে করেন, বাংলাকে ভাগ করে কোন একটা অংশের উন্নয়ন হবে। এটা একবারে ভুল। কোন কিছুকে ভেঙ্গে সমৃদ্ধশালী করা যায় না। উত্তরবঙ্গের জন্য নতুন চিন্তা করার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। তবে তা কোনদিনই বিচ্ছিন্নতাবাদকে মদত দিয়ে নয়।
এদিন তিনি দেশের ভ্যাকসিন পলিসি না হওয়ায় কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করে বলেন, কেন্দ্র সরকারের ভুল নীতির জন্য আজ দেশে ভ্যাকসিনের এই অবস্থা। সুপ্রিম কোর্টও টিকাকরণ নীতি বা ভ্যাকসিন পলিসি করার কথা বলেছিলো। আমাদের দলের নেতা রাহুল গান্ধী অনেকদিন আগে এটা বলেছিলো। কিন্তু কেন্দ্র সরকার তাতে আমল দেয়নি। কেন্দ্র সরকার যদি একটা পলিসি করতো তাহলে ভ্যাকসিন নিয়ে এতো সমস্যা হতো না। দেশের মানুষেরা সুন্দরভাবে ভ্যাকসিন পেতেন।
বর্তমানে দেশজুড়ে শোরগোল ফেলে দেওয়া ফোনে আড়ি পাতা ইস্যুর তীব্র নিন্দা করেন কংগ্রেসের এই সাংসদ। তিনি বলেন, শুধু যে তৃনমুল কংগ্রেসের নেতাদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে এমনটা তো নয়। দেশের অনেক নেতা ও মন্ত্রী সহ প্রচুর মানুষের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। তবে এতে বাংলার রাজনীতিতে অভাবনীয় কোন পরিবর্তন হবে এমনটা মনে করার কোন কারণ নেই। একটা রাজনৈতিক দলের পক্ষে কোন অভিযোগ তোলা বা নিন্দা করা অন্য ব্যাপার। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে দুটো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কোনকিছু নিয়ে একক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। এটা দলের অভ্যন্তরীন ব্যাপার। দলে তা বিস্তারিত আলোচনা হবে।
প্রসঙ্গতঃ, এই আড়ি পাতা ইস্যুতে দিল্লিতে কংগ্রেস ও তৃনমুল কংগ্রেস অনেক কাছাকাছি এসেছে। দুই দল কেন্দ্রের শাসক দলকে একজোট হয়ে আক্রমন করছে।