ASANSOLLatestPANDESWAR-ANDAL

কয়লা কান্ডে আবারও তৎপর CBI, ভিজিলেন্সকে সঙ্গে নিয়ে ইসিএলের আধিকারিকদের অফিস ও আবাসনে হানা, টানা জেরা ,খনি এলাকায় চাঞ্চল্য

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৮ জুলাইঃ কয়লা পাচার কান্ডে Coal Smuggling Case আবারও তৎপর হলো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI সিবিআই। বুধবার সিবিআইয়ের ৬ জনের একটি দল একযোগে আসানসোল রানিগঞ্জ কয়লাখনি Raniganj Coalfield এলাকায় হানা দেয়। এবারের হানা সিবিআইয়ের সঙ্গে ছিলো কোল ইন্ডিয়ার ভিজিলেন্সের Coal Inida একটি দল। এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিবিআইয়ের দলটি আসানসোল রানিগঞ্জ কয়লাখনি এলাকায় একাধিক জায়গায় হানা দেয় বলে জানা গেছে। তবে তারা কি কি পেয়েছে তা অবশ্য সন্ধ্যা পর্যন্ত জানা যায় নি।
এদিন ইসিএলের কেন্দা এরিয়ার জিএম আবাসনে হানা দেয় সিবিআইয়ের দলটি । জিএমকে দীর্ঘক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ও নথি । সিবিআই হানার খবরে খনি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য ।


বিভিন্ন খনি থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চলা অবৈধ কয়লা কারবারের অভিযোগে বেশ কয়েক মাস হল তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তদন্তে উঠে এসেছে ইসিএলের একাধিক আধিকারিকের নামও । সেই তালিকায় রয়েছেন ইসিএলের কেন্দা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ কুমার মুখোপাধ্যায়ের নামও । এদিন সকালে সিবিআই ও ভিজিলেন্সের একটি দল কেন্দা এরিয়া কমপ্লেক্সে সুভাষবাবুর আবাসনে হানা দেয় । দলে ছিলেন ছয়জন সিবিআই অফিসার ও চারজনের ভিজিলেন্সের আধিকারিকদের একটি দল । প্রথমে তারা কেন্দ্রা এরিয়া অফিসে যান । সেখান থেকে তারা আসেন এরিয়া কমপ্লেক্সে সুভাষবাবুর আবাসনে । সন্ধ্যা সাড়ে ছটার শেষ খবর অনুযায়ী, তদন্তকারী আধিকারিকেরা এখনও সুভাষবাবর আবাসনেই রয়েছেন । সূত্র মারফত জানা গেছে, কয়লা পাচার নিয়ে সুভাষ বাবুকে এদিন টানা জেরা করেন আধিকারিকেরা ।

তার আবাসন থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ, নথি, নগদ টাকা সহ একাধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ।
উল্লেখ্য, এই কয়লা পাচার কাণ্ডে ইসিএল ৫ জন আধিকারিকের নাম রয়েছে । বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যে জেরা করেছে সিবিআই ।
সুভাষ কুমার মুখোপাধ্যায় আগে সংস্থার পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার পদে ছিলেন । সম্প্রতি তিনি কেন্দা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার পদে যোগ দেন । সুভাষ বাবু পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ায় কর্মরত থাকাকালীন সিবিআই একবার সেখানেও হানা দিয়েছিলো । সুভাষ বাবু সেই সময় কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত না থাকায় খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল সিবিআই আধিকারিকদের ।


এছাড়াও এদিন সকালে প্রথমে ভিজিলেন্সের দলটি আসানসোলের ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়ার নিমচায় এজেন্ট অফিসে আসে। তারা অফিস গেটে তালা লাগিয়ে দেন। সেই সময় দুজন সেখানে ঢোকার জন্য আসেন। কিন্তু ভিজিলেন্সের দলটি তাদের আটকায়। পরে সেখানে সিবিআইয়ের দলটি পৌঁছায়। এদিন আসানসোলের শাঁকতোড়িয়ায় ইসিএলের সদর দপ্তরের নিরাপত্তা আধিকারিক মুকেশ কুমারের অফিস ও বাড়িতে সিবিআইয়ের দলটির যাওয়ার কথা ছিলো। একইভাবে আসানসোলের আপকার গার্ডেনে আরো এক জিএমের বাড়িতে সিবিআইয়ের যাওয়ার ছিলো। সন্ধ্যা পর্যন্ত সিবিআই এই দুজনের বাড়ি ও অফিসে যায়নি বলে জানা গেছে। তবে এদিনের হানার ব্যাপারে সিবিআইয়ের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয় নি।


প্রসঙ্গতঃ, এই কয়লা কান্ডে ইসিএলের ২ জন জিএম সহ ৫ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআইয়। বেআইনি কয়লা খনন রুখতে না পারা ও কয়লা চুরি, দুর্নীতি কারণে এফআইআরটি ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর নথিভুক্ত করা হয়। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত একাধিকবার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। যে ৫ জনের নামে এফআইআর করা হয়েছে তারা হলেন, ইসিএলের কুনুসতোড়িয়া এরিয়ার প্রাক্তন পাণ্ডবেশ্বর এরিয়ার বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার একে ধর, কাজোড়া এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার জেসি রাই, চিফ সিকিউরিটি অফিসার তন্ময় দাস, কাজোড়া এরিয়া সিকিউরিটি ইনচার্জ দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় ও কুনস্তোরিয়া এরিয়ার সিকিউরিটি ইনচার্জ ধনঞ্জয় রায়। তার মধ্যে মাস কয়েক আগে সিবিআইয়ের অভিযানের সময় ধনঞ্জয় রায় মারা যান।

স্বপ্ন অলিম্পিকে যোগ দিয়ে পদক আনা, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া জাতীয় মহিলা বক্সার ও কোচকে দুবছরের জন্য স্পনসরশিপ দিলো আসানসোলের বেসরকারি শিল্প সংস্থা 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *