BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJANBengali News

গাছ রক্ষা করার বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে মন্ত্রকের নির্দেশে তদন্তে  ডিএফও

বেঙ্গল মিরর,দেব ভট্টাচার্য :– সালানপুর ব্লকের সামাজিক সংগঠন এবং পরিবেশ প্রেমীদের পাশে থাকা মানুষেরা বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ তুলেছিল মহকুমার যত্রতত্র গাছ কেটে ফেলার, গাছের গায়ে পেরেক গেঁথে তারমধ্যে কেমিক্যাল মিশিয়ে জীবন্ত গাছ মেরে ফেলার, কাঠ চেরাই  একশ্রেণীর কলগুলিতে অবৈধভাবে কাঠ মজুত করা, জঙ্গলের মধ্যে আগুন লাগিয়ে বিস্তীর্ণ জঙ্গল সাফ করে দেওয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে। কোলিয়ারি এবং রাস্তা সম্প্রসারণের কারণ দেখিয়ে বহু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ‌ বহুতল আবাসনগুলি নিয়মমাফিক অনুমতি বনদপ্তর থেকে নিলেও তারা কোন রকম বৃক্ষরোপণ এবং তার লালন-পালন করছেন না।

এই জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে রাজ্যের বন মন্ত্রী থেকে ডি এফ ও কে ভাবনা চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানায়। সঙ্গে সঙ্গেই বন বিভাগের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয় থাকছে কি না সেই প্রশ্নও তোলা হয়। এইসব যাবতীয় বিষয়গুলি নিয়ে সরেজমিনে দেখা এবং আলোচনা করার জন্য ।মন্ত্রকের নির্দেশে  বুধবার ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (দুর্গাপুর ডিভিশন) নীলরতন পান্ডা রূপনারায়নপুর রেঞ্জ অফিসে আসেন। গাছ কাটা রোধ করা এবং উন্নত পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের ব্যাপারে ডিএফও শ্রী পাণ্ডা এদিন “ভাবনা”র সদস্যদের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন। ভাবনার পক্ষ থেকে তার কাছে সুনির্দিষ্ট কিছু ইতিবাচক প্রস্তাব রাখা হয়। বিষয়গুলি নিয়ে ডিএফও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে জানান।

এদিনের বৈঠকে ভাবনার সভাপতি, বিশ্বদেব ভট্টাচার্য,সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব মন্ডল,শ সম্পাদক অভয় মন্ডল, সৌরভ ঠাকুর এবং আইনজ্ঞ হরিশংকর চট্টোপাধ্যায় ও  কাজল মিত্র উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ডিএফও সহ রেঞ্জ অফিসার অচিন্ত্য সরকার ও বিভিন্ন অধিকারিকরাও ছিলেন। ডিএফও শ্রী পান্ডা বলেন বন বিভাগের সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক অন্যান্য বিভাগ এবং সামাজিক সংগঠন গুলিকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বনাঞ্চলের পরিমাণ খুবই কম। মাত্র পাঁচ  শতাংশ এই জেলায় বনভূমি আছে। সেই বনভূমি রক্ষার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ঔ সংস্থাগত যেসব গাছ পালা আছে সেগুলিকেও গুরুত্ব দিয়ে রক্ষা করতে হবে।

Leave a Reply