BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJANBengali News

Salanpur এর আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশন স্কুলের পড়ুয়ারা অকৃতকার্য,অসন্তোষ

বেঙ্গল মিরর,সালানপুর, কাজল মিত্র :- উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবার পরেও সালানপুর ব্লকের আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশনে ২৫৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩৭ জনের পরীক্ষার্থীর কোন রেজাল্ট না আসার কারণেই পূর্বেই অসন্তোষ দেখিয়েছিল স্কুল চত্তরে।সেদিন ছাত্রদের কে প্রধান শিক্ষক দাবি দিয়ে জানান যে তারা সকল ছাত্র – ছাত্রীর ফর্ম ঠিক সময়ে জমা করেছেন সংসদ অফিসে।

অসন্তোষ প্রকাশ 7 ছাত্র-ছাত্রীদের পুলিশ মোতায়েন

তাই মার্কশিট নাআসার বিষয়টি ঊর্ধতম কর্তৃপক্ষ কে জানিয়েছেন এবং তারা বিষয় টি দেখছেন।সেই আশ্বাসে সকল ছাত্র ছাত্রী ফিরে যান
কিন্তু ছাত্রদের মার্কশিট না পাওয়ার ফলের পুনরায় তারা সোমবার স্কুলে যান এবং তাদের পুনরায় ফেরত পাঠানো হয় কিন্তু ২৭ জুলাই নিশ্চিত হয়ে যায় যে এই ছাত্র – ছাত্রীদের তথ্যাবলী সংসদে জমা দেয়নি স্কুল কতৃপক্ষ ।যদিও প্রথমদিকে সকলেই ভেবেছিলেন সংসদের ভুলে এরা মার্কশিট পাচ্ছে না ।কিন্তু স্কুলের এতবড় গাফিলতির কারনে এতগুলো ছাত্রের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের মুখে ।তাদের হয়ত একবছর নষ্ট পর্যন্ত হতে পারে।
এই মত অবস্থায় স্কুল কতৃপক্ষ এর তরফে সমস্ত দিক দিয়ে শেষ চেষ্টা করে দেখা হচ্ছে যদি এদের রেজাল্ট কোনভাবে সংসদ থেকে আনা যায় সেকারনেই বৃহস্পতিবার আছড়া স্কুলে প্রশাসনিক ভাবে একবৈঠক ডাকা হয়।


আর এই খবর পেয়ে স্কুলে জমায়েত হয় ছাত্র ছাত্রী কিন্তু কোন প্রকার অস্বস্তিজনক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আগে থেকেই বিরাট সংখ্যক পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে রাখা হয় স্কুল গেটের সামনে এবং বন্ধ রাখা হয় স্কুল ।তবে পরে স্কুল এর পরিবর্তে সেই আলোচনা পঞ্চায়েত দফতরে রাখা হয় সেখানে স্কুল প্রধান শিক্ষক নিখিল দত্ত সহ স্কুল এসআই পাপিয়া মুখার্জ, বিধায়ক প্রতিনিধি ভোলা সিং, সালানপুর ব্লক যুগ্ম আধিকারিক অরুনভ মন্ডল, স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্য গৌরাঙ্গ তেওয়ারী, পঞ্চায়েত উপপ্রধান হরেরাম তেওয়ারী সহ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন।এই আলোচনা থেকেই উঠে আসে সালানপুর ব্লকের বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশন স্কুল এর ১৩৭ জন পড়ুয়ার উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট পাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই কারণ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদে এই ছাত্র – ছাত্রীদের কোন তথ্যই স্কুল কর্তৃপক্ষ জমা দেননি ফলে তাদের অনলাইন মাধ্যমেও হায়ার সেকেন্ডারির কোন রেজাল্টই দেখায়নি।
তবে ছাত্রদের কথা ভেবে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে চেষ্টা করা হয় যাতে নতুন করে এদের তথ্য জমা দিয়ে রেজাল্ট তৈরি করিয়ে আনা যায়।সেজন্য রাজ্যের স্কুল শিক্ষা সচিব ,শিক্ষা মন্ত্রী সহ সমস্ত জায়গায় দরবার করা হয়েছে।যদিও সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস স্কুলকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন স্কুল থেকে কোনাে তথ্য না আসায় তাদের পক্ষে আর কিছু করা সম্ভব নয়।


তবুও আছড়া পঞ্চায়েতের আলোচনা সভায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক , স্কুল কমিটি , সালানপুর বিডিও , চিত্তরঞ্জন শিক্ষা চক্রের এস আই, বিধায়ক প্রতিনিধি ,স্থানীয় রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে অন্যান্যরা কিছু একটা উপায় বের করার জন্য চেষ্টা করতে থাকেন।


সকল বিষয়ে জেলাশাসকের কাছে আর্জি করার বিষয়ে মনস্থ করেন সকলেই । তাছাড়াও রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী তথা আসানসােলের বিধায়ক মলয় ঘটকের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে যােগাযােগ করে এই ১৩৭ জন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর জীবন বাঁচানাের আর্জি জানানাে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


এদিকে সকাল থেকে স্কুলের সামনে উপস্থিত থাকা ছাত্র ছাত্রীরা খবর পেয়ে পঞ্চায়েতের সামনে এসে উপস্থিত হয় এবং সেখানে তারা মার্কশিট পাওয়ার আশা নেই সেই কথা শোনার পর ছাত্র ছাত্রীরা আতংকে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সকলে প্রধান শিক্ষক সহ কর্মচারী উত্তম এর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত অফিসের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।অনেকে আবার কান্নাকাটি শুরু করে কেউ আবার আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে ।
যার ফলে দিনভর স্কুল এবং আছড়া পঞ্চায়েত অফিসে উত্তেজনা বজায় ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *