ASANSOL

করোনার 3rd Wave মোকাবিলা করতে আসানসোল ইএসআই হাসপাতালে বিশেষ এইচডিইউ

বেঙ্গল মিরর ,আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : আসানসোল ইএসআই হাসপাতাল প্রশাসন করোনার তৃতীয় তরঙ্গ মোকাবেলায় হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) তৈরি করছে। ওই ইউনিটে ২০ টি শয্যার সঙ্গে থাকবে অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম। মঙ্গলবার ইএসআই হাসপাতালে রোগীদের শয্যা পর্যন্ত অক্সিজেন পৌঁছনোর জন্য অক্সিজেনের জন্য লাগানো হচ্ছে পাইপ।

আসানসোলে ইএসআই হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ড: অতনু ভদ্র জানান যে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যেই তৃতীয় তরঙ্গ জলপাইগুড়িতে থাবা বসিয়েছে যা বেশ চিন্তার বিষয়। তৃতীয় তরঙ্গ মোকাবিলায় হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) তৈরী করা হচ্ছে। ওই ইউনিটে ২০ বেডের শয্যার সঙ্গে ভেন্টিলেটর, ইসিজি, অক্সিজেন সমস্ত কিছুই থাকবে। হাসপাতালে রোগীদের অবিরাম বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজ্যে মোট ১৩ টি ইএসআই হাসপাতালে এইচডিইউ ইউনিট বানানো হচ্ছে।

ড: ভদ্র শিল্পাঞ্চলের মানুষের প্রতি পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন যে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কেউ যাতে আনন্দিত না হন এই ভেবে যে তারা আর করোনা ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত হবেন না। সতর্ক না হলে তারা আবার করোনা সংক্রমিত হতে পারেন।
ইএসআই হাসপাতাল সুপারিনটেনডেন্ট আরো বলেন যে, হোটেল এবং মলে সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনার লাগানো থাকে যার ফলে করোনা ভাইরাস আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচবার জন্য ভিড় থেকে দূরে থাকুন এবং মাস্ক ব্যবহার করুন। করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য সরকার নিরন্তর প্রয়াস করে চলেছে। কিন্তু সতর্কতা বিশেষ প্রয়োজন। দেশের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের অনুমান করোনার তৃতীয় ঢেউ আগস্ট মাসের শেষের দিকে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

হাসপাতালের চালু হবে সিটিস্ক্যান ইউনিট

হাসপাতাল সুপারেনটেনডেন্ট ডাক্তার অতনু ভদ্র বলেন, চিকিৎসাধীন রোগীদের কাছে অক্সিজেন যাতে তাড়াতাড়ি পৌঁছায় সে কারণে সেন্ট্রালাইজড অক্সিজেন লাইন বসানো হচ্ছে। যার ফলে রোগীদের শয্যা পর্যন্ত অক্সিজেন পৌঁছানো সম্ভব হবে।
এছাড়াও তিনি বলেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের সুবিধের জন্য সিটি স্ক্যান ইউনিট বসানো হচ্ছে। রোগীদের আরো সুচিকিৎসার জন্য বেশ কিছু চিকিৎসক নিযুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে
অর্থোপেডিক স্পেশালিস্ট থেকে সাধারণ ডাক্তার সবাই রয়েছেন। অনেকেই আবার বিশেষ প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।

এছাড়া ওই দিন ভ্যাক্সিনেশন সংক্রান্ত প্রশ্নে হাসপাতালের স্টোর ইনচার্জ উৎপল পান্ডা এবং কুণাল চ্যাটার্জী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে তারা মানুষের সমস্যার কথা মাথায় রেখে যতটা সম্ভব পরিষেবা দিয়ে চলেছেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *