লছিপুরে ২ টি ক্লাব সীল, গ্রেফতার আরও ৩, হাজার-হাজার টাকায় বিনিময়ে বানানো হত পরিচয়পত্র ও কাগজ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ লছিপুর যৌনপল্লীকে (Red Light Area) পুরোপুরি দালালদের খপ্পর থেকে মুক্ত করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য ওই এলাকায় অভিযান চলছে। ডিসিপি ওয়েস্ট অভিষেক মোদী শনিবার গভীর রাতে আবারও রেড লাইট এলাকায় অভিযান চালান। এই এলাকায় পতিতাবৃত্তির ব্যাপারে পুলিশ প্রতিদিন একের পর এক নতুন ক্লু পাচ্ছে। রোববার পুলিশ লছিপুরের যৌনপল্লী এলাকার এনসিসি ক্লাব ও মাহি লায়ন্স ক্লাব সিল করে দেয়। এছাড়া পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। ডিসিপি ওয়েস্ট অভিষেক মোদি দিশা পুনরায় চালুর জন্য লছিপুর যৌনপল্লী এলাকা থেকে অল্প দূরত্বে অবস্থিত দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতির সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। তিনি দিশা জনকল্যাণ কেন্দ্রের শিশুদের শিক্ষা, এইচআইভি পরীক্ষা এবং যৌনকর্মীদের পরিচয়পত্র নিয়ে কথা বলেন।
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/05/img-20240520-wa01481045365085360283686-500x428.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/09/img-20240909-wa00806721733580827251668.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/12/fb_img_17339279922403722767543487143310-476x500.jpg)
![](https://bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2021/08/WhatsApp-Image-2021-08-05-at-8.40.18-PM-500x281.jpeg)
দুর্বার মহিলা সমিতির প্রেসিডেন্ট মার্জিনা শেখ বলেন, দিশা পুনরায় চালুর জন্য পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছে, যাতে তিনি পুলিশকে বিস্তারিতভাবে সমস্ত বিষয় অবহিত করেন। তিনি বলেন যে পুলিশ যদি সমস্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে, তাহলে তারা পুনরায় দিশা চালুর কাজে সহযোগিতা করবে। লছিপুর যৌনপল্লী থেকে অল্প দূরত্বে আরেকটি যৌনপল্লী আছে যা ‘চবকা’ নামে পরিচিত। এই এলাকায় মাঝেমধ্যেই দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতির মাধ্যমে সকল যৌনকর্মীর মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়। এর বাইরেও পুলিশের সহায়তায় নাবালিকা মেয়েদের পতিতাবৃত্তি থেকে মুক্তি করানোর কাজ করা হয়।
গত ৪ দিন ধরে পুলিশ প্রশাসন দিশা জনকল্যাণ কেন্দ্রে অবস্থিত যৌনপল্লী এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে, যার কারণে আশেপাশের দোকানদাররা তাদের দোকান খুলছেন না। একই সময়ে, এই এলাকায় পতিতাবৃত্তি বন্ধ হওয়ার কারণে, যৌনকর্মীরা এলাকা ছেড়ে পালাতে শুরু করেছে।এটি লক্ষনীয় যে এখান থেকে রাজ সোলাঙ্কি সহ ২৮ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখানে পুলিশ এমন একজন ব্যক্তির সন্ধান করছে, যিনি নিজেকে এলাকার সর্বেসর্বা বলে দাবি করেন, শোনা যাচ্ছে যে সেই ব্যক্তি মুম্বাই পালিয়ে গেছেন।
যৌনকর্মীরা হাজার হাজার টাকা দিয়ে আধার কার্ড এবং ভোটার কার্ড জোগাড় করত কিন্তু কোন উপায়ে? :
বাংলার সবচেয়ে বড় যৌনপল্লী ( Red Light Area) হল কুলটি থানার অন্তর্গত লছিপুর যেখানে শয়ে শয়ে যৌনকর্মী দেহ ব্যবসার কাজে নিযুক্ত। এই যৌনকর্মীদের একটি বড় সংখ্যক বাংলাদেশ থেকে আসা নাবালিকা যুবতী। হোয়াইট কলার নেতাদের সাহায্যে দালালদের মাধ্যমে বাইরে থেকে যৌনকর্মীদের কাছে, প্রথমে রেশন কার্ড, তারপর ভোটার কার্ড তৈরি করা হয়। এর পরে স্থানীয় ঠিকানা পেয়ে তাদের আধার কার্ড তৈরি করা হয়। স্থানীয় লোকজন এবং অন্যান্য সূত্র মারফত খবর এই যৌনপল্লীতে বহু সমাজের সম্ভ্রান্ত মানুষ বা হোয়াইট কলার লোক এবং তাদের সমর্থকদের বহু দোকান অবৈধভাবে চলে। পুলিশ প্রশাসন যদি এই বিষয়ে তদন্ত করে, তাহলে অনেক চমকপ্রদ সূত্র পাওয়া যাবে।