একরাতে আসানসোল ও চিত্তরঞ্জনে চারটি দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা, এলাকায় চাঞ্চল্য, তদন্তে পুলিশ
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল, ২৭ আগষ্টঃ একরাতে আসানসোল শহর ও রেল শহর চিত্তরঞ্জনে চারটি দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে আসানসোলের একটি ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রি ও রেল শহর চিত্তরঞ্জনে একটি মুদি দোকানে এই চুরির ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে এই দুটি চুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ আসে। দুটি চুরির ঘটনায় দুই থানার পুলিশ আলাদাভাবে তদন্ত শুরু করেছে। জানা গেছে, আসানসোল উত্তর থানার রেলপারে আসানসোল পুরনিগমের ৩ নং বোরো অফিস সংলগ্ন ছোট বাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে একটি ইলেকট্রনিক দোকানে চুরির ঘটনাটি ঘটে।
অন্যদিনের মতো শুক্রবার সকালে দোকান মালিক মনোজ কুমার যাদব দোকান খুলতে এসে দোকানের ঘরের আ্যাসবেসটাসের ছাদ ভাঙ্গা অবস্থায় দেখতে পান। দোকান মালিক বলেন, চোরেরা দোকানে ঢুকে কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী নিয়ে পালিয়েছে। তার মধ্যে আছে মোবাইল ফোন, কম্পিউটারের এলসিডি, নগদ টাকা সহ অন্যান্য জিনিস। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। আসানসোল স্টেশন যাওয়ার রেলপারের এলাকায় ব্যস্ততম রাস্তার উপরেই রয়েছে এই দোকনটি।সারা রাত এই রাস্তায় মানুষের যাতায়াত রয়েছে। সকলের দৃষ্টি এড়িয়ে কি ভাবে এত বড় চুরির ঘটনা ঘটল তার তদন্তে নেমেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, রেল শহর চিত্তরঞ্জন আবার বড় ধরনের চুরির ঘটনা ঘটলো। কে জি হাসপাতাল সংলগ্ন বাজারে বৃহস্পতিবার রাতে একটি
মুদি দোকানের টিনের চাল পিছন থেকে সরিয়ে চোরেরা ভেতরে ঢুকে যথেচ্ছ লুটপাট চালিয়েছে। তাছাড়াও পাশাপাশি আরও দু’টি দোকানের বেশ কিছু জিনিসপত্রও চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে । শুক্রবার সকালে দোকান খুলতে এসে মালিক অসিত বন্দোপাধ্যায় দোকানের অবস্থা দেখে সঙ্গে সঙ্গে আরপিএফ ও চিত্তরঞ্জন থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ আসে। দোকানগুলি থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকার জিনিস চুরি হয়েছে। ঘটনার জানাজানি হতেই ছুটে আসেন আশেপাশের দোকানদারেরা।
তারা অভিযোগ জানিয়ে বলেন বারবার এই বাজারের বিভিন্ন দোকানে চুরি হচ্ছে। কিন্তু কোন বারই সেইসব চুরির কিনারা হচ্ছে না। এর আগে এই বাজারের আটা চাকিতে চুরি হয়েছিল। এর পাশাপাশি একটি গ্যারেজ, সাইকেলের দোকান, খাবারের দোকানেও চুরি হয়েছে। বারবার সংরক্ষিত শহর চিত্তরঞ্জনে চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কোনভাবেই পুলিশ ধরতে পারছে না। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আরপিএফ ও রাজ্য পুলিশ থাকা সত্ত্বেও চুরি আটকানো যাচ্ছে না। তারা বলেন, প্রশাসন এখন জোর করে রাত আটটার পরে দোকান বন্ধ করতে বাধ্য করছেন। সারারাত এইসব বাজার এলাকায় কোন নজরদারি থাকেনা। তার ফলে নির্বিঘ্নে চোরেরা চুরি করছে। আরপিএফ ও চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।