DURGAPUR

দুর্গাপুরে দলের মহিলা সদস্যকে দেখতে এসে বেলাগাম আক্রমণ, ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ” ডাল মে কুছ কালা হ্যায় ” দেখছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, দূর্গাপুর, ৬ সেপ্টেম্বরঃ রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধের মধ্যেই কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন করতে চাওয়ায় বঙ্গ বিজেপিকে বেজায় ক্ষুব্ধ ও অসন্তুষ্ট তা যতদিন যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে। এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন করতে চাওয়ার মধ্যে “ডাল মে কুছ কালা হ্যায় ” দেখতে পাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সোমবার সকালে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি দলের এক মহিলা সদস্যকে দেখতে এসে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।


দিন কয়েক আগে নিজেকে বিজেপি কর্মী বলে পরিচয় দেওয়া ঝর্ণা দাস নামে ঐ মহিলা দুর্গাপুর পুরনিগমের ৪২ নং ওয়ার্ডে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নিতে যান। সেই সময় তাকে কাউন্সিলর অপমান ও হেনস্থা করা হয় বলে মহিলার স্বামী অভিযোগ করেন। ঐ ঘটনার পরেই মহিলা আত্মহত্যা করতে দুর্গাপুর ব্যারাজ সংলগ্ন দামোদর নদীতে ঝাঁপ দেন l কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় তিনি রক্ষা পান। তাকে দূর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় চিকিৎসার জন্য।

এদিন ঐ মহিলাকেই দেখতে আসেন দিলীপ ঘোষ। হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে তিনি একহাত নিয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোটে জিতিয়ে বিধায়ক করে মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখে দিতে চাইছে। আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবে বিজেপি । নির্বাচন কমিশন পক্ষপাত দুষ্ট কিনা তাও আমরা দেখছি। রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলছে, এই মুহুর্তে রাজ্যে নির্বাচন করানোর মতো পরিস্থিতি নেই। অথচ কেন্দ্র নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচন করার কথা ঘোষণা করে দিলো।

তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের মতো ভবানীপুরেও হেরে যান, তখন কি হবে? তিনি তো হেরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এখন বলা হচ্ছে সাংবিধানিক সংকট দেখা দেবে। এই সংকট তো তিনি নিজে তৈরী করেছেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি আরো বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিটিং মিছিল করলে কার বাবার ক্ষমতা আছে তা আটকাবে। কিন্তু বিজেপি মিটিং মিছিল করলেই গ্রেফতার করা হবে। কাউন্সিলরের লোকেরা বলছে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া উচিৎ । শিক্ষিকারা বিষ খাচ্ছে। ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে এক মহিলা । তার অপরাধ শুধু সে বিজেপি করে । ৫০০ টাকা পাওয়ার জন্য মহিলাদের সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাইন দিতে হচ্ছে রাস্তায়।


এর আগে এইভাবে বঙ্গ বিজেপির কোন নেতাকে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এত চাঁচা ছোলা ভাষায় একযোগে আক্রমণ করতে দেখা যায়নি। কেন্দ্রের শাসক দলের রাজ্য সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

দূর্গাপুরের কাঁকসায় চাঞ্চল্য , ট্রাকের ভেতর থেকে সাংসদের ভাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার

Leave a Reply