ASANSOLBengali News

এবার দুয়ারে সরকারে দ্বিগুণেরও বেশি মানুষকে পরিষেবা, শুধু লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার ১৭৬ আবেদন

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য,আসানসোল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একুশের বিধানসভা ভোটের আগেই ঘোষণা করেছিলেন আরো নতুন-নতুন প্রকল্প নিয়ে দুয়ারে সরকার গড়তে তিনি মানুষের কাছে পৌছে যাবেন । আর সেই ঘোষণাকে কার্যকরী করতে গিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা  গতবারের  দুয়ারে সরকারের ( Duare Sarkar ) তুলনায় এবার দুয়ারে সরকারে দ্বিগুণেরও বেশি মানুষকে পরিষেবা দিতে পারলেন বলে জানা গেছে। সরকারি তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে প্রথমবার দুয়ারে সরকারে যেখানে সাড়ে পাঁচ লক্ষ মানুষকে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় পরিষেবা দেওয়া হয়েছিল ,এবারে তা বেড়ে সাড়ে তের লক্ষ হয়েছে ।এবার এই জেলায় শুধু লক্ষীর ভান্ডার ( Laxmi Bhandar ) প্রকল্পে ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার ১৭৬ জন এই পরিষেবা চেয়ে আবেদন করেছেন।

অন্যদিকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ছাত্রছাত্রীরা সুবিধা পেতে  ৩৫০৬ জন দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে আবেদন করেছেন ।শ্রমিক সুরক্ষা যোজনায় ৬৩৫৮৬ জন এই পরিষেবা  পাওয়ার জন্য ,১০০ দিনের কাজে ৪৭১১ জন জব কার্ডের জন্য নতুন করে আবেদন করেছেন ।স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প ২ , ৪৭ ৪১৪এবং খাদ্য  সাথিতে ১,৩২,৩১৩ জন আবেদন করেছেন ।এছাড়াও ১৪৮১২ জন নতুন কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন জানিয়েছেন বলে জানা গেছে ।

অপরদিকে সামগ্রিকভাবে জেলার দুই পুরসভার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে আসানসোল পুরসভায় ৪৩০৬১৮ জন ।দুর্গাপুরে এই সংখ্যা ২৬৫৯৮৬ । ব্লকগুলির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি আবেদন এসেছে অন্ডাল বল, সালানপুর এবং কাঁকসা ব্লক থেকে। অন্ডালে ১৩৬৬৭৩ জন ,সালানপুর ১০০৫০৪জন এবং কাঁকসাতে ৮৩০১৮ জন ।সবচেয়ে কম আবেদন এসেছে জামুরিয়া ব্লকে ৫০০৬১। বারাবনিতে ৬৯১১৭ ,রানীগঞ্জে ৫৭৪৩৫ ,  দুর্গাপুর ফরিদপুর ৭৪৭৩০  এবং পাণ্ডবেশ্বর ৭৭৯৫৯ জন বিভিন্ন প্রকল্পের আবেদন করেছেন।

এই তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে প্রচুর মানুষ নতুন করে এই Duare Sarkar শিবির গুলির মাধ্যমে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খোলা বা অন্যান্য পরিষেবার সুবিধা এবং আঁধারের সুবিধা গ্রহণ করেছে। জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা মনে করেন মুখ্যমন্ত্রীর ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দেবার আর মাত্র অল্প সময়ের মধ্যেই বাড়ির কাছেই সমস্ত সুবিধা যেভাবে তারা পেয়েছেন তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যসভার কারকে সকলেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন । পশ্চিম বর্ধমান জেলার পঞ্চায়েত গ্রামিন দপ্তরের দায়িত্বে থাকা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের আধিকারিক থেকে কর্মচারী জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় আমাদের জেলার এই সাফল্য মিলেছে।

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন, প্রস্তুত থাকার বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাবুল সুপ্রিয়কে একযোগে আক্রমন 

Leave a Reply