ASANSOL

Coal Smuggling শিকড় খুঁজতে আরো জেরা জরুরী, দাবি CBIর, জয়দেব সহ ৪ জনকেই হেফাজতে নিলো

মোতায়েন রাজ্য পুলিশ, কমব্যাট ফোর্সের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী / নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আসানসোলের বিশেষ আদালত

রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ২৮ সেপ্টেম্বরঃ কয়লা কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে সোমবারই প্রথম গ্রেফতার হয়েছিল অনুপ মাজি ওরফে লালার চার ঘনিষ্ঠ সহযোগী জয়দেব মণ্ডল, নীরোদ মণ্ডল, গুরুপদ মাঝি এবং নারায়ণ নন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে সিবিআই ( কেস নং ২২/ ২০) ভারতীয় দন্ডবিধির ১২০/ বি ও ৪০৯ নং ধারা ও ১৯৮৮ সালের প্রিভেনশন অফ করাপশন আইনের ১৩ ( ১) ( এ) ও ১৩ ( ২) নং ধারায় মামলা করেছে।


মঙ্গলবার সকালে রাজ্য পুলিশ, কমব্যাট ফোর্সের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে চার হাজির করানো হয়। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক জয়শ্রী বন্দোপাধ্যায়ের এজলাসে সওয়াল-জবাবের সময় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী রাকেশ কুমার এই মামলায় আরো তদন্তের স্বার্থে চারজনকেই ৭ দিনের জন্য রিমান্ড বা হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেন। সিবিআইয়ের আইনজীবী বিচারকের কাছে দাবি করেন বেআইনী কয়লা কারবার থেকে লালার ১৩৭৪ কোটি টাকার সম্পত্তি হয়েছে। এইসব কিছুর সঙ্গে এই চারজন তার সহযোগী জড়িত রয়েছে।

এছাড়াও এদেরকে ডেকে বারবার জেরা করা হলেও, তারা তথ্য লুকিয়ে রাখছে। তদন্তে সহযোগিতা করছে না। তাই এদেরকে হেফাজতে নিয়ে আরো জেরা করার দরকার আছে। কেননা এটা একটা ষড়যন্ত্র। এর শেকড় অনেক দূর পর্যন্ত আছে। ধৃতদের হয়ে এদিন এজলাসে ছিলেন ৪ আইনজীবী। সিবিআইয়ের আইনজীবীর হেফাজতে নেওয়ার দাবি বিপক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে চারজনের প্রধান আইনজীবী শেখর কুন্ডু বলেন, সিবিআই মামলা করেছে ২০২০ সালে। অথচ তারা বলছে, ধৃতরা ২০১৫ /১৬ সাল থেকে এই কারবার করছে। তাহলে কোনটা ঠিক? আসল কথা হলো, তদন্তকারী সংস্থা হেফাজতে নিয়ে বিশেষ কিছু বলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চুপ করে থাকাটা তো সাংবিধানিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তিনি আরো বলেন, এরা বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রত্যেকের শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তার মেডিকেল রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা এই মামলায় সিবিআই বা ইডি যখন তাদেরকে ডেকেছে, তখনই তারা গেছে। তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করছে। তাই তাদেরকে জামিন দেওয়া হোক।

Coal Smuggling CBI


দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের শেষে এদিন বিকালে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে জয়দেব মন্ডলকে চারদিন ও বাকি তিনজনকে সাতদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন। সিবিআই আদালত সূত্রে জানা গেছে, জয়দেব মন্ডলকে আগামী ১ অক্টোবর ও নীরোদ মন্ডল, গুরুপদ মাজি ও নারায়ণ নন্দাকে আগামী ৪ অক্টোবর আবার আসানসোলের আদালতে তোলা হবে। আদালতের নির্দেশ আসার পরেই ৪ জনকে সিবিআইয়ের অফিসাররা গাড়িতে চাপিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। কলকাতার নিজাম প্যালেসে রেখে ৪ জনকে সিবিআই জেরা করবে।


প্রসঙ্গতঃ, রাজ্য তথা দেশ জুড়ে তোলপাড় ফেলে দেওয়া এই কয়লা কান্ডের তদন্ত করতে নেমে প্রায় এক বছর পরে সিবিআই সোমবার অনুপ মাঝি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ চারজনকে গ্রেফতার করেছিলো। সোমবার সকালে এই ৪ জনকে নিজাম প্যালেসে ডেকেছিলো সিবিআই।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর সিবিআই অবৈধ কয়লা খনি , কয়লা চুরি ও বেআইনি কয়লা পাচারের অভিযোগে পুরুলিয়ার বাসিন্দা অনুপ মাঝি ওরফে লালা ও ইসিএলের দুইজন জিএম এবং তিন নিরাপত্তা আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলো। সিবিআই এই মামলায় পরে সারাদেশে প্রায় ৩০ টি জায়গায় তল্লাশি চালায় । গত ১৬ সেপ্টেম্বর আসানসোলে ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজারের বাড়িতে এবং অফিসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই সর্বশেষ অভিযানে নেমে তল্লাশি চালিয়েছিলে। এখানেই শেষ নয় সিবিআই তদন্ত শুরু করার পরে এই কান্ডে ইডি আলাদা করে তদন্ত শুরু করে। অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে সিবিআই গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার নোটিশ দিয়ে ডাকলেও সে আসেনি। এমনকি তার বাড়িতে তল্লাশি চালালেও তাকে এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি । তবে তার দুটি কারখানা সহ ১৬৫ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি সিবিআই ইতিমধ্যেই অ্যাটাচমেন্ট করেছে।


এদিন, আসানসোল আদালতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সবাইকে ঢুকতে হয়। আদালতে গেটে পুলিশ দুচাকা ও চারচাকার গাড়ি পরীক্ষা করে। এজলাসে এই মামলার আইনজীবী ছাড়া অন্য কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি। তবে তার মধ্যেও এদিন আদালত চত্বরে ধৃত ৪ জনের অনেক পরিচিতরা এসেছিলেন।

जयदेव समेत 4 की गिरफ्तारी से कईयों की उड़ी नींद, कल आसनसोल CBI विशेष कोर्ट में होगी पेशी

Breaking : CBI ने नारायण, जयदेव , नीरद और गुरुपद को दबोचा, coal smuggling में पहली गिरफ्तारी

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *