Mamata Banerjee ঐতিহাসিক জয়ের দিকে এগোচ্ছেন , রাজ্য জুড়ে উৎসবের আমেজ
বেঙ্গল মিরর,আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : ভবানীপুর আসনে ঐতিহাসিক জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জয়ের আগেই তৃণমূল কর্মীরা আনন্দে উদযাপন করেছে। কর্মীরা একইসঙ্গে হোলি-দীপাবলি উদযাপন করে। আসানসোলে, ইউনিয়ন নেতা রাজু আহলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বে কর্মীরা উদযাপন এবং মিষ্টি বিতরণ করে। টিএমসি কর্মীরা একে অপরের সঙ্গে আবির খেলেন এবং ফটকা ফাটিয়ে উদযাপন করেন।
রাজু আহলুওয়ালিয়া বলেন, এটা জনগণের জয়। বাংলার মানুষ দিদির সঙ্গে আছে। একমাত্র তৃণমূল বাংলার উন্নয়ন করতে পারে। এখানে সাম্প্রদায়িক শক্তির কোনো স্থান নেই। আসানসোলে তরুণ নেতা ভানু বসু, মাধব দাস, শিলাদিত্যের নেতৃত্বে উদযাপন করা হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 35 হাজার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। গত নির্বাচনে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এখান থেকে প্রায় ২৫ হাজার ভোটে জিতেছিলেন।
একই সঙ্গে রাজা গুপ্তের নেতৃত্বে কর্মীরা উদযাপন করেন। রানীগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনোদ নোনিয়ার নেতৃত্বে শ্রমিকরা উদযাপন করেছে। একই সময়ে, বিরোধী দলগুলি কটাক্ষ করেছে যে মানুষ যেখানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের সাহায্যের প্রয়োজন। এই সব না করে তৃণমূল কর্মীদের উচিত ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা।
শুধু বাংলা নয় গোটা দেশের চোখ আজ ভবানীপুরের দিকে স্থির। বেশিরভাগ মানুষ এখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজয় হবেই সে ব্যাপারে নিশ্চিত। কোনো আশ্চর্য্য ঘটনা ঘটলে সেক্ষেত্রে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় কতটা ব্যবধানে হবে সেটিই মূল আকর্ষণ। ভবানীপুর আসনটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐতিহ্যবাহী আসন। নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর, তিনি এখান থেকে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার বিপরীতে বিজেপি প্রিয়াঙ্কা তিব্রেওয়ালকে প্রার্থী করেছিল।
ভবানীপুরে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। এখানে ২১ রাউন্ড গণনা করা হবে। একই সঙ্গে আরও দুটি আসন সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ভোট গণনা চলছে। সামশেরগঞ্জে ২৪ রাউন্ড এবং জঙ্গিপুরে ২৬ রাউন্ড গণনা হবে। ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় সুনিশ্চিত’। মানুষ প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন। এখন শুধু জয়ের ব্যবধান দেখতে হবে। তিনি ৫০ থেকে ৭০ হাজার ভোটে জয়ের দাবি করেন।