ASANSOLBengali NewsKULTI-BARAKAR

কুলটিতে অন্য আরাধনা, লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা প্রথমবার পেয়েই প্রথমবার লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন, শ্রীবৃদ্ধি হোক লক্ষ্মী ভান্ডারের, কামনা মহিলাদের

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায় , আসানসোল, ১৯ অক্টোবরঃ কেউ দিনমজুরের কাজ করেন। কেউ বা করেন সেলাই । কেউ আবার খাবার তৈরি করে হোম ডেলিভারি করেন। পাশাপাশি তারা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজের সঙ্গে রয়েছেন। এদের স্বামীরা সব পেশায় দিনমজুর। পাকা বাড়ি কারোরই নেই। বলতে গেলে একই পাড়ার পাড়ার মহিলারা একত্রিত হয়ে আয়োজন করলেন কোজাগরী লক্ষী পুজোর।রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্প ” লক্ষী ভান্ডারের” টাকা ব্যাংকের একাউন্টে তারা প্রথমবার পেয়েছেন দূর্গাপুজোর আগেই ।

তাই, তারা এই বছর প্রথমবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করলেন একসঙ্গে হয়ে। বাসন্তী, মালা, রীনা, সুষমা, এদের কারোরই পরিবারে তেমন আর্থিক স্বাচ্ছন্দ নেই। তবে লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা পেয়ে কিছুটা হলেও মুখে হাসি ফুটেছে এদের মুখে। মা লক্ষ্মীর নামাঙ্কিত যখন এই সরকারি প্রকল্প, তাই ছোট করে হলেও এবার কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটির মিঠানির মা সারদা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। মঙ্গলবার সকালে গ্রামে গিয়ে দেখা গেল মাটির বাড়ির দাওয়াতেই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পুজোর জন্য লক্ষ্মী প্রতিমা আনা হয়েছে। আম পল্লবও টাঙানো হচ্ছে। এদিনই বলতে গেলে পুজোর আয়োজন প্রায় সারা হয়ে গেছে। বুধবার হবে পুজো। তার আগে এদিনই প্রথম বার পুজোর আয়োজন করা মহিলাদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। স্বাভাবিক ভাবেই তাদের মন খুব খুশি। কারণ তাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টে ১ হাজার টাকা করে ২ হাজার টাকা জমা পড়ে গেছে। হাতেও সেই টাকা পেয়েছেন তারা। সুষমা বাউরি, মালা বাউরি ও বাসন্তী বাউরিরা বলেন, ঐ টাকা পেয়েই আমরা সামান্য করে সবাই দিয়ে এই পুজোর আয়োজন করেছি। আমাদের কামনা, এই লক্ষ্মী ভান্ডার অটুট থাকুক ও শ্রীবৃদ্ধি হোক।


একইভাবে বন্দনা বাউরি, রীণা বাউরিরা বলেন, আমরা চাই রাজ্যের লক্ষ্মী লাভ হোক। তবেই আমাদেরও আর্থিক উন্নতি হবে। সুষমা বাউরি বলেন, তাই আমরা মা লক্ষ্মীর পুজো করেই লক্ষ্মী ভান্ডারের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেছি।
তৃণমূল কংগ্রেসের এসসিএসটি সেলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি মোহন ধীবর ও কুলটি ব্লকের এসটিএসসি সেলের নেতা প্রসেনজিৎ বাউরি বলেন, মহিলাদের আর্থিক উন্নতির জন্য লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্প আর্থিক পিছিয়ে পড়া মহিলাদের আর্থিক সুবিধা দিয়েছে। ভালো দিন ফিরে এসেছে। তাই পুজো করে ওরা ওই সুদিনের দীর্ঘ মেয়াদের কামনা করেছেন মা লক্ষ্মীর কাছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এটা জেনে আমাদের খুব ভালো লাগছে। মনে আনন্দে তারা এই পুজোর আয়োজন করেছেন। রাজ্য জুড়েই এই দৃশ্য দেখা যাবে বলে, মোহনবাবুরা মনে করেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *