ASANSOLBusinessKULTI-BARAKARRANIGANJ-JAMURIA

Master Plan উন্নয়নের জন্য চাই, ফুটপাতের জবরদখল নিয়ে এবার সরব হলো Fosbecci, ব্যবসা বন্ধ করে ধর্ণায় বসার হুমকি

রাজা বন্দোপাধ্যায় সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও কাজল মিত্র আসানসোল, ২২ অক্টোবরঃ আসানসোল বাজারের ফুটপাত সহ শিল্পাঞ্চলের একাধিক বাজার এলাকা জবরদখল হয়ে গেছে। এই নিয়ে এবার সরব হলো দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতন বনিকসভা ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ( Fosbecci)। বনিকসভা হুমকি দিয়ে বলেছে, ব্যবসায়ীদের কথা ভেবে হকারদের পুনর্বাসন দিয়ে প্রশাসনকে এই জবরদখল সরাতে হবে। না হলে তারা ব্যবসা বন্ধ করে ধর্ণায় বসতে বাধ্য হবেন। শুক্রবার দক্ষিণ বঙ্গের এই বনিকসভার তরফে আরো বলা হয়েছে, আসানসোল শহরের সামগ্রিক উন্নয়নে একটি মাস্টার প্ল্যান, বার্ণপুরের প্রস্তাবিত এয়ারপোর্ট দ্রুত চালু, বার্ণপুরের কালাঝড়িয়ার দামোদরে ব্রিজ তৈরি ও গাড়ুই এবং নুনিয়া নদীর আশপাশ দখল মুক্ত করে সংস্কার করতে (Master Plan) হবে।

Master Plan


এদিন আসানসোলের জিটি রোডের পুরনো রামকৃষ্ণ মিশন মোড় সংলগ্ন একটি হোটেলে ফসবিকির তরফে এক সাংবাদিক বৈঠক করা হয়।
সেখানে ফসবিকির সভাপতি আরপি খৈতান ও সাধারণ সম্পাদক শচীন রায় অভিযোগ করে বলেন, যেভাবে আসানসোল বাজারের ফুটপাত বেআইনি ভাবে হকাররা দখল করে নিয়েছে তাতে বড় দোকানগুলি ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। ফুটপাতের দোকান গুলো ধীরে ধীরে একবারে সামনে চলে এসে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে। তারা বলেন, শুধু আসানসোল নয় পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন বাজার এলাকা যেমন কুলটি, বরাকর, রূপনরায়নপুর, জামুড়িয়া, রানিগঞ্জ, নিয়ামতপুর সহ বিভিন্ন এলাকার বাজারে বড়বড় দোকানের সামনে ফুটপাত দখল করে বসে রয়েছে হকাররা ।এতে বড় দোকানদারদের বিক্রি অনেকটাই কমে গেছে।


ফুটপাত দখলের অভিযোগ করে শচীন রায় আরো বলেন, বাম আমলে ফুটপাত সরানোর জন্য একবার উদ্যোগ নিয়ে গীর্জা মোড়ে ফুটপাত দোকানদার দের জন্য বেশ কিছু দোকান করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলি করার পরেও পুনরায় ফুটপাত দখল করে আরো নতুন নতুন হকার বসে পড়ে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের থেকে পুরনিগম ২ টাকা স্কোয়ার ফুট হিসেবে কমার্শিয়াল ট্যাক্স নিয়ে থাকে। অথচ হকারদের হাতে দখল হয়ে যাওয়া ফুটপাতে দখল মুক্ত করতে পুর প্রশাসন কিছু করছে না। আমরা গোটা বিষয়টি রাজ্যের আইন ও পূর্ত দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করবো। নাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে হবে বলেন তিনি জানিয়েছেন ।


এছাড়াও এদিন বনিকসভার তরফে আসানসোল শহরের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য জিটি রোড ফ্লাইওভার সহ একটি মাস্টার প্ল্যান (Master Plan) তৈরির দাবি করা হয়েছে। শচীনবাবু আরো বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে আসানসোল বার্ণপুর সহ এই জেলার সঙ্গে পাশের জেলা বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বার্ণপুরের কালাঝড়িয়ায় দামোদরে একটি ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু শিলান্যাস হওয়ার পরেও সেই ব্রিজ হয়নি। আমাদের দাবি, ব্যবসায়ী সহ এইসব জেলার সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এই ব্রিজ দ্রুত তৈরী করা হোক। প্রতি বছর বৃষ্টিতে আসানসোলের রেলপার ও আশপাশের এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। এর অন্যতম কারণ হলো ঐ এলাকায় থাকা দুটি নদী গাড়ুই ও নুনিয়া সংস্কার না করা ও নদীর পাড় দখল হয়ে যাওয়া। এবারের বৃষ্টিতে আরো ভয়াবহ অবস্থা হয়েছিল। এরজন্য আলাদা করে আরো একটি মাস্টার প্ল্যান করা হোক। যাতে ভবিষ্যতে আর এইরকম পরিস্থিতি না হয়। এদিন ফসবিকির সদস্যদের সঙ্গে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন চেম্বার অফ কমার্সের পদাধিকারিদের একটি বৈঠকও হয়। অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন বিনোদ গুপ্তা, পবন গুট গুটিয়া ।

আসানসোল পুরনিগম ভাঙলো অবৈধ নির্মাণ

সাংসদের পদত্যাগের দিন আসানসোলকে নতুন ভাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাষ্টার প্ল্যানের কথা তুলে বার্তা দিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি 

Leave a Reply