ASANSOL

সোশ্যাল মিডিয়ায় সুন্দরীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবার আগে সতর্ক হন

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: (SOCIAL MEDIA CRIME) সময়ের সাথে সাথে অপরাধের পদ্ধতিও দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। সাইবার অপরাধীরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা, বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে প্রতারণা করা বা ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করার পদ্ধতিগুলি এখন অপ্রচলিত। এখন হানিট্র্যাপ ব্যবহার করা হচ্ছে মানুষকে প্রতারিত করার জন্য। অতএব, সোশ্যাল মিডিয়ায় সুন্দরীদের থেকে সতর্ক থাকুন, অন্যথায় আপনিও ব্ল্যাকমেলের শিকার হতে পারেন। এমনই একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে। বিশেষ করে তরুণরা এই হানিট্র্যাপের স্বীকার হচ্ছেন। মানুষ সাইবার থানায় পৌঁছাচ্ছে, কিন্তু অভিযোগ নথিভুক্ত করছে না। যার কারণে পুলিশও ব্যবস্থা নিতে অসহায়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় সুন্দরীদের
एक पीड़ित के साथ ठग द्वारा किये गये चैट के कुछ अंश

SOCIAL MEDIA CRIME: কীভাবে প্রতারণা করা হয়


প্রথমে ফেসবুক বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করে বন্ধুত্ব করা হয়। এরপর একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর নিয়ে তাতে ভিডিও কল করে অশ্লীল ভিডিও দেখানো হয়। ভিডিওটি দেখিয়ে তাকে একই কাজ করতে বলা হয়। এরপর ওই ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করে। এমন ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে শিল্পাঞ্চলে। বিশেষ করে তরুণদের টার্গেট করা হচ্ছে এতে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কোনো অচেনা মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার আগে একশোবার ভাবুন। অন্যথায় আপনিও প্রতারণার শিকার হতে পারেন। তাই অপরিচিত মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
শুধু তাই নয়, বন্ধুত্ব করলে কোনো প্রকার প্রলোভনে পা দেবেন না।

আসানসোলের ধাদকা রোডের বাসিন্দা এক রেলকর্মীর সঙ্গে ফেসবুকে এক মহিলার বন্ধুত্ব হয়। এরপর মোবাইল নম্বর আদানপ্রদান হয়। মোবাইলে ভিডিও কল করে তার ছবি দেখানো হয়। এরকম বহুবার চলে। এরপর ওই নারী তাকে তার অশ্লীল ভিডিও দেখান এবং তাকেও তাই করতে বলেন। এরপর ওই মহিলা সবকিছু রেকর্ড করেন। তাকে একটি ভিডিও পাঠিয়ে বলেন, টাকা না দিলে ভাইরাল করে দেবেন। এরপর সাইবার থানায় পৌঁছান রেলকর্মী। কিন্তু তিনি অভিযোগ করেননি।

একইভাবে কিছুদিন আগে নিয়ামতপুরের এক তরুণ ব্যবসায়ীর কাছে সোশ্যাল মাধ্যমে প্রীতি শর্মা (Social Media Crime) নামে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে। তারা বন্ধুত্বও করে। এরপর মেসেঞ্জার থেকে নম্বর নিয়ে প্রথমে নিজের ভিডিও দেখান ওই মহিলা। তারপরে তাকে তার ভিডিও দেখাতেও বলা হয়, তবে তিনি সম্ভবত এই জাতীয় প্রতারণা সম্পর্কে অবগত ছিলেন, তিনি ভিডিওটি দেখিয়েছিলেন, তবে মুখে মাস্ক পরেছিলেন। কিন্তু সে একই ভিডিও রেকর্ড করে তাকে হুমকি দিতে থাকে। তার কাছে টাকা চায়, টাকা না দিলে ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেয়।প্রথমে তিনি ঘাবড়ে যান এবং পরে পুলিশের কাছে যান এবং বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করে ওই প্রতারককে বলেন, যা খুশি করলে করুন টাকা তিনি দেবেন না। এরকম বেশকিছু ঘটনা কিছুদিন ধরেই সামনে আসছে।

সচেতন হলেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইবার থানা ইনচার্জ মনোজ কুমার ব্যানার্জি বলেন, এ ধরনের ঘটনা (Social Media Crime) ঘটছে। কিন্তু জনগণ অভিযোগ করতে দ্বিধাবোধ করে। দু-একটি ঘটনায় অভিযোগ করা হয়েছে। যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ধরনের অপরাধ এড়াতে সতর্ক থাকতে হবে। পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে কমিশনারেট সাইবার সেল ডিসির নেতৃত্বে বিভিন্ন স্তরে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়াতেও মানুষকে সচেতন করছে। জনগণ সচেতন হলেই এ ধরনের অপরাধ দমন করা সম্ভব।

আসানসোলে গ্র্যান্ড ট্রেড ফেয়ার, জানুয়ারী ৭ থেকে ১৭ 

Asansol এ ট্রাফিক ব্যবস্থা হবে উন্নততর, সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বৈঠকে 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *