ASANSOL

আসানসোল শহরে ফ্লাইওভার ও পুর এলাকার মাস্টার প্ল্যান, দুই মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের চিঠি দিলো দক্ষিণ বঙ্গের বনিকসভা

বেঙ্গল মিরর,রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল, ৭ নভেম্বরঃ আসানসোল শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও যানজটের মোকাবিলায় ফ্লাইওভার তৈরীর দাবি জানালো দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম বনিকসভা ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা ফসবিকি। একইসঙ্গে আসানসোল পুরনিগম এলাকার জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরী দাবি করা হয়েছে বনিকসভার তরফে। এরজন্য ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির তরফে, রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও মলয় ঘটককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানান বনিকসভার সভাপতি আরপি খৈতান ও সাধারণ সম্পাদক শচীন রায়। একইসঙ্গে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্য নগরোন্নয়ন ও পুর দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক, আসানসোলের মহকুমাশাসক, আসানসোল পুরনিগমের পুর প্রশাসক, আসানসোল দূর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যানকে।


এর আগে, দক্ষিণ বঙ্গের এই বনিকসভার তরফে আসানসোল শহরের সামগ্রিক উন্নয়নে একটি মাস্টার প্ল্যান, বার্ণপুরের প্রস্তাবিত এয়ারপোর্ট দ্রুত চালু, বার্ণপুরের কালাঝড়িয়ার দামোদরে ব্রিজ তৈরি ও গাড়ুই এবং নুনিয়া নদীর আশপাশ দখল মুক্ত করে সংস্কার করার দাবি তোলা হয় ।
এদিন আসানসোলের জিটি রোডের পুরনো রামকৃষ্ণ মিশন মোড় সংলগ্ন একটি হোটেলে ফসবিকির তরফে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সভাপতি আরপি খৈতান ও সাধারণ সম্পাদক শচীন রায় বলেন, আগামী ২০ বছরে পুরনিগম এলাকার জনসংখ্যা কি হবে, তার একটা হিসাব ধরে উন্নয়নের জন্য একটা দীর্ঘ মেয়াদি মাস্টার প্ল্যান করা হোক। আর একটা প্ল্যান করা হোক এখন কাজ করার জন্য। না হলে বছর কয়েক পরে, আর কিছু করা যাবেনা। তারা বলেন, রাজ্যের মধ্যে কলকাতার পরে এই আসানসোল হলো সবচেয়ে বড় পুরসভা। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কর বা রাজস্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে এই আসানসোল প্রথম বা দ্বিতীয় স্থানে আছে। আমাদের মনে হচ্ছে, আসানসোল শহর বা গোটা পুর এলাকায় সামগ্রিক উন্নয়নের যে ভাবে করা উচিত, তা করা হচ্ছে না। কোন রকম প্ল্যান বা পরিকল্পনা ছাড়া কাজ করা হচ্ছে। তাই আমরা উন্নয়নের জন্য মাস্টার প্ল্যান করতে বলছি। তাতে বনিকসভা সব রকম ভাবে সাহায্য করবে।


শচীনবাবু বলেন, আসানসোল শহরে বর্তমানে ট্রাফিক ব্যবস্থা খুব খারাপ। যানজট বলতে গেলে সবসময়ই থাকে। জিটি রোড, হটন রোড বা এসবি গরাই রোডের ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিক না করতে পারলে, আগামী দিনে রাস্তা দিয়ে হাঁটা যাবেনা। জিটি রোডে ফ্লাইওভার তৈরীর পাশাপাশি, ঐ দুই রাস্তার বিকল্প রাস্তা করা হোক। একইসঙ্গে টোটো ও অটোর নির্দিষ্ট রুট করা হোক।
শচীনবাবু আরো বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে আসানসোল বার্ণপুর সহ এই জেলার সঙ্গে পাশের জেলা বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বার্ণপুরের কালাঝড়িয়ায় দামোদরে একটি ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু শিলান্যাস হওয়ার পরেও সেই ব্রিজ হয়নি। আমাদের দাবি, ব্যবসায়ী সহ এইসব জেলার সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এই ব্রিজ দ্রুত তৈরী করা হোক। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন বিনোদ গুপ্তা, পবন গুটগুটিয়া, স্বপন চৌধুরী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *