ASANSOL

কয়লা পাচার মামলা, জামিন হলো না লালার চার সঙ্গীর, পরবর্তী শুনানি ২৩ নভেম্বর

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল, ৮ নভেম্বরঃ কয়লা চোরাচালান বা পাচার মামলায় অনুপ মাজি ওরফে লালার চার সহযোগী জয়দেব মণ্ডল, নীরদবরন মণ্ডল, গুরুপদ মাজি ও নারায়ণ নন্দার জামিন সোমবার আবারও আসানসোলের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে নাকচ হয়ে গেলো। একমাস পরে এদিন চারজনকে সিবিআই আদালতে তোলা হয়।
প্রথম দফায় ৭ দিন ও দ্বিতীয় দফায় ৪ দিন অর্থাৎ মোট ১১ দিনের সিবিআই রিমান্ডের মেয়াদ শেষে দূর্গাপুজোর আগে গত ৮ অক্টোবর আসানসোল আদালতে চারজনকে হাজির করা হয়েছিলো। সেদিন সিবিআই আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শরণ্যা সেন প্রসাদ দুই পক্ষের আইনজীবীদের দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের শেষে বিচারক চারজনের জামিন নাকচ করে দিয়ে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পুজোর ছুটির পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৮ নভেম্বর বলে বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন।

नहीं मिली जमानत


এদিন সওয়াল জবাবের শেষে সিবিআই আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রত্না দে বিশ্বাস, চারজনেরই জামিন নাকচ করে দেন ও বলেন, আগামী ২৩ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
এদিন প্রথমে জয়দেব মন্ডলদের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে শেখর কুন্ডু সহ অন্য আইনজীবিরা তাদের জামিনের আবেদন করেন বিচারকের কাছে। তারা বলেন, চারজনই অসুস্থ। তার মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে আগেই জমা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিবিআই এই মামলায় প্রথম যে এফআইআর করেছে। তাতে এই চারজনের নাম নেই। সেই এফআইআরে যাদের নাম আছে, তাদের একজনকেও সিবিআই গ্রেফতার করতে পারেনি। অথচ, এদেরকে শুধু মাত্র অনুপ মাজি বা লালার সহযোগী হিসেবে ধরে নিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিন আইনজীবীরা চারজনের হয়ে সওয়াল করে বলেন, যেকোন শর্তে তাদেরকে জামিন দেওয়ার হোক।


এরপর সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার পাল্টা জবাবে বিচারকের কাছে চারজনের জামিনের বিরোধিতা করেন৷ তিনি বলেন, এরা যথেষ্ট প্রভাবশালী। এরা জামিন পেলে মামলায় তদন্তের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। সাক্ষীদের হুমকি ও ভয় দেখানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, সিবিআইের তরফে (মামলা নং ২২/২০) ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১২০/বি , ৪০৯ এবং প্রিভেনশন অফ করাপশন অ্যাক্ট, ১৯৮৮ এর ধারা ১৩ (১)(এ) এবং ১৩ (২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।


প্রসঙ্গতঃ, সিবিআই ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর অনুপ মাঝি এবং দুই জিএম এবং ইসিএলের তিন নিরাপত্তা আধিকারিকের বিরুদ্ধে অবৈধ খনন, চুরি এবং কয়লার চোরাচালানের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। সিবিআই পরে এই মামলায় সারাদেশে প্রায় ৩০ টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। ইতিমধ্যেই, লালার ১৭৫.৫৬ কোটি টাকার সম্পত্তি অ্যাটাচমেন্ট করেছে সিবিআই। গ্রেফতার চারজনকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসের শেষে তাদেরকে আবার জেরার জন্য সিবিআই ডেকে পাঠায়। তখন তারা সঠিক উত্তর দেননি। বরং বিভিন্ন ধরনের তথ্য গোপন করছে, এই অভিযোগে সিবিআই এদেরকে গ্রেফতার করে।


সিবিআইয়ের দাবি, জয়দেব সহ এই চারজন সারা দেশে অনুপ মাজি বা লালার সঙ্গী হিসাবে কাজ করতো। কয়লা কারবারের অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী ছিলো লালা বলে সিবিআইয়ের দাবি। যদিও সুপ্রিম কোর্ট রক্ষা কবচ দেওয়ায় সিবিআই তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

जयदेव समेत 4 की गिरफ्तारी से कईयों की उड़ी नींद, कल आसनसोल CBI विशेष कोर्ट में होगी पेशी

Breaking : CBI ने नारायण, जयदेव , नीरद और गुरुपद को दबोचा, coal smuggling में पहली गिरफ्तारी

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *