রানিগঞ্জে খাদানের জল থেকে রাজমিস্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১১ নভেম্বরঃ খোলামুখ খনি বা খাদান থেকে তৈরী হওয়া পুকুরের জল থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোলের রানিগঞ্জ থানার সিয়ারশোল এলাকায়। মৃত ঐ ব্যক্তি পেশায় রাজমিস্ত্রী। রানিগঞ্জ থানার বল্লভপুরের পাল পাড়ার বাসিন্দা মৃত ব্যক্তির নাম মঙ্গল বাউরি (৪৪)। এদিন বিকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পেশায় রাজমিস্ত্রী মঙ্গল বাউরি সিয়ারশোল ও তার আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। এলাকার বাসিন্দারা তাকে অনেকেই চেনেন। বৃহস্পতিবার সকালে সিয়ারশোলের বাসিন্দারা উপর পাড়ার নামু বাঁধ বা খোলামুখ খনি থেকে তৈরী হওয়া পুকুরের জলে এক ব্যক্তির মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রানিগঞ্জ থানার পাঞ্জাবিমোড় ফাঁড়ির পুলিশ এলাকায় আসে। বেশ কিছুক্ষুনের চেষ্টায় পুকুর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে খবর বাড়ির লোকেরা এসে মৃতদেহ সনাক্ত করেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, বুধবার বিকালে রাজমিস্ত্রীর কাজ শেষ করার পরে মঙ্গল বাউরি ঐ পুকুরের জলে হাত-পা ধুতে আসেন। কিন্তু কোন ভাবে সে পুকুরের জলে পড়ে ডুবে যায়। ঐ পুকুরের পাশের রাস্তা দিয়ে সন্ধ্যার পরে খুব একটা কেউ যাতায়াত করেননা। তাই কেউ তা জানতে পারেনি। এদিন সকালে মৃতদেহ ভেসে উঠায় এলাকার বাসিন্দারা তা দেখতে পান। পরিবারের তরফে কোন অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় পুলিশ এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করেছে।
পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনে দুটি পৃথক ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনা দুটি ঘটেছে বুধবার বিকেল ও রাতে আসানসোলের নিমচা ও অন্ডাল- সাঁইথিয়া সেকশানে সিঁদুলি স্টেশনের কাছে। মৃতরা হলো আসানসোল দক্ষিণ থানার কালিপাহাড়ির সাগর গোপ ( ৩১) ও পান্ডবেশ্বর থানার নিমসার চন্দন বাদ্যকর ( ২৩)। বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে দুটি মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকালে অন্ডাল- সাঁইথিয়া সেকশানের সিঁদুলি স্টেশনের কাছে ও আসানসোলের নিমচার কাছে চন্দন বাদ্যাকর ও সাগর গোপ রেললাইন পার করছিলো। সেই সময় তারা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়েন ও ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।