ASANSOLASANSOL-BURNPURBengali News

চাকরি চলে যাওয়ার জন্য অবসাদে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যুবকের, অভিযোগ পরিবারের, বেসরকারি গ্যাস উত্তোলনকারী সংস্থার অফিসের সামনে দেহ নিয়ে বিক্ষোভ, ১৫ লক্ষ ক্ষতিপূরণ ও চাকরির দাবি

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোল, ১২ নভেম্বরঃ চাকরি চলে যাওয়ার মানসিক অবসাদে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক যুবকের মৃত্যু ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোলের বার্ণপুরে। হিরাপুর থানার বার্ণপুরের শ্যামডিহি এলাকার বাসিন্দা মৃত যুবকের নাম রাজেশ পাল (৩৫) ।
প্রসঙ্গতঃ, দ্য গ্রেট ইস্টার্ন এনার্জি কর্পোরেশন লিমিটেড বা জিইইসিএল এই বার্ণপুর এলাকায় কুয়ো তৈরী করে মাটির তলা থেকে সিএনজি গ্যাস উত্তোলন করছে।


আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী। কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই, আমার ছেলেকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। মাঝে কাজে রেখে, তারপর আবার কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়। এতে আমার ছেলের মানসিক অবস্থার অবনতি হয়। শুক্রবার সকালে সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, এমন অভিযোগ নিহতের মা সাগরী পালের। এদিন সকালে সাগরী পাল আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীদের নিয়ে রাজেশের মরদেহ নিয়ে ঐ সংস্থার অফিসের গেটের সামনে বসে পড়েন। সাগরী পাল সংস্থার কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের আরেক সদস্যের জন্য চাকরি দাবি করেন। তবে ক্ষতিপূরণ ও চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ চলে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত।


জানা গেছে, গ্যাস তোলার কাজ সম্প্রসারণের জন্য রাজেশ পালের পরিবার প্রচুর জমি দিয়েছিলো। সেই জমির বদলে চাকরি পেয়েছিলেন তারা। অভিযোগ, কয়েকদিন কাজ করার পর হঠাৎ করেই তাকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করা হয়। অনেক বিতর্কের পর তাকে আবার নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু পরে আবার রাজেশ পালকেও অন্য লোকের সঙ্গে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরিবারের দাবি, এরপর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলো রাজেশ পাল।
খবর পেয়ে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন বা মিমি নেতা দানিশ আজিজ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি এই ঘটনায় সঠিক বিচার দাবি করেন।


সংস্থার তরফে সানি সিং বলেন, আমরা ঐ যুবকের দুঃখজনক মৃত্যুর কথা জেনে দুঃখিত। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে কিছু দুষ্কৃতকারী দ্বারা সরাসরি চাঁদার নামে জুলুম ও হয়রানি করেছ । অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। সংস্থা সবসময় আইন মেনে চলে। মৃত ব্যক্তির সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।

Leave a Reply