বিহারে তরুণ সাংবাদিক হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলনে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সাংবাদিকরা, ডিএমের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল। বিহারের মধুবনি জেলায় নির্মমভাবে খুন হলেন এক তরুণ সাংবাদিক বুদ্ধিনাথ ঝা ওরফে অবিনাশ। মাত্র ২২ বছর বয়সে, বুদ্ধিনাথ সত্য উন্মোচনের জন্য তাকে অপহরণ করে পুড়িয়ে মারা হয় । বিহারের মাধুবনিতে অবৈধভাবে চলা বেসরকারি ডাইগনেস্টিক সেন্টার, নার্সিংহোমগুলির কারবার সবার সামনে ফাঁস করেছিলেন বুদ্ধিনাথ। ১৫ই নভেম্বর থেকে দ্বিতীয় বার ওদের কেলেঙ্কারির আরো প্রকাশ করার কথা ছিল ।কিন্তু তার আগেই অপরাধীরা তাকে অপহরণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে এবং সত্যের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করে। সাংবাদিক বুদ্ধিনাথ ঝাকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় সারাদেশের সাথী পশ্চিম বর্ধমান জেলার সাংবাদিকরাও মঙ্গলবার ব্যাপক আন্দোলন করেন।




মঙ্গলবার শহরের বিএনআর মোড়ে অবস্থিত রবীন্দ্র ভবনের সামনে জেলার শিল্পাঞ্চলের সাংবাদিকরা এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য। নীলোৎপল রায় চৌধুরী, রাকেশ উপাধ্যায়, গোপাল সিং, অভয় মণ্ডল, বাসুদেব চ্যাটার্জি, রঞ্জিত কুমার, চন্দ্রশেখর চ্যাটার্জি, তারক চ্যাটার্জি, অমলেশ কুমার, চন্দন গুপ্ত,সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, সুমন তিওয়ারি,
সন্তোষ মণ্ডল (বিজু), ভিকি গোপ, ঋষি গুপ্ত, অমলেশ কুমার, কায়শের খান, রাহুল তিওয়ারি, সোনু চৌধুরী, ওমপ্রকাশ সিং, রিংকু, বাপ্পা ব্যানার্জি, টনি, গুরমিত সিং সহ ৪৬ জন সাংবাদিক উপস্থিতথেকে বক্তব্য রাখেন। পরে জেলার সকল সাংবাদিক ঐক্যবদ্ধভাবে এই স্মারকলিপির মাধ্যমে পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রপতি, বিহারের রাজ্যপালের কাছে দাবি জানান যে, কোন কর্মরত মাননীয় বিচারপতিদের নেতৃত্বে বিশেষ কমিশন তৈরি করে দ্রুত ফাস্ট ট্র্যাক করে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।
দ্বিতীয়ত তার পরিবারের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হোক। তৃতীয়তঃ বারবার এই ধরনের খুনের ঘটনা যাতে না ঘটে তা প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব বুদ্ধিনাথের খুনিদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক এবং সত্য প্রকাশের চেষ্টায় লিপ্ত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। একই সঙ্গে এ দিন সভাপতি বিশ্বদেব ভট্টাচার্য উত্তরপ্রদেশের সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেওয়া, ত্রিপুরায় দুই মহিলা সাংবাদিকের গ্রেপ্তার, বিহারের এই ঘটনা সহ সারা দেশে একাধিক রাজ্যে সাংবাদিকদের আক্রমণের তীব্র নিন্দা করে তাদের কাজের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান বিভিন্ন শাসকদল প্রশাসনের কাছে।