আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ, যাত্রী তোলা নিয়ে টোটো চালক ও বাস কর্মীদের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি, বার্ণপুর বাসস্ট্যান্ডে উত্তেজনা
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১৭ নভেম্বরঃ যাত্রী তোলা নিয়ে টোটো চালকদের সঙ্গে বাস কর্মীদের বচসা ও হাতাহাতি। টোটো চালকদের মারে এক বাসকর্মীর মাথা ফেটে যায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে বুধবার সকালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় আসানসোলের বার্নপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। এই ঘটনার পরে আসানসোল – বার্ণপুর রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সাধারণ মানুষদের চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। খবর পেয়ে হিরাপুর থানার পুলিশ এলাকায় আসে। গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে আহত বাস কর্মী ও তৃনমুল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির তরফে হিরাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে, বার্ণপুর বাসস্ট্যান্ডে এদিনের ঘটনা একবারে নতুন নয়। বলতে গেলে প্রতিদিন আসানসোল শহর তথা শিল্পাঞ্চলের কোন না কোন জায়গায় টোটো ও অটো চালকদের মধ্যে যাত্রী তোলা নিয়ে গন্ডগোল হয়। অটো ও টোটোর দৌরাত্ব দিন প্রতিদিন বেড়ে যাওয়ায় বাস মালিক ও কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী হচ্ছে।




জানা গেছে, এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বার্ণপুর বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে টোটো চালক ও বাস কর্মীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তা পরে হাতাহাতি থেকে মারামারিতে পর্যন্ত গড়ায়। অভিযোগ সেই সময় আচমকাই টোটো চালকরা বাসস্ট্যান্ডে চড়ায় হয়ে আসানসোল – বার্ণপুর রুটের একটি বড়বাসের এক কন্ডাক্টরের উপর চড়াও হয়ে তাকে মারধর করে। এই ঘটনার পরে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সব বাস কর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদে একজোট হয়ে গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হিরাপুর থানার পুলিশ। আহত বাস কর্মী হিরাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ছুটে আসেন বাস ও মিনিবাস কর্মচারী সংগঠনের প্রতিনিধি ও মালিকরা।
তৃনমুল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির বাস কর্মী সংগঠনের এক নেতা অভিযোগ করে বলেন, ডিজেলের দাম আকাশছোঁয়া। তার সঙ্গে অন্যান্য খরচ আছে। আগে অটোর দৌরাত্ব ছিলো। এখন তো টোটো রাজ চলছে। বাসে যাত্রী নেই বললেই চলে। তারপরেও আমরা সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বাস চালিয়ে যাচ্ছি। টোটো অটোর দৌরাত্বে আমরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছি। প্রশাসন যদি টোটো ও অটো চলাচলের নির্দিষ্ট রুট ঠিক করে না দেয় তাহলে আমাদের পক্ষে আর বাস চালানো সম্ভব হবে না। বাস মালিক ও কর্মীরা একযোগে, টোটো ও অটোর দৌরাত্ব অবিলম্বে বন্ধ করার দাবী জানিয়েছেন।
এই ঘটনা নিয়ে আইএনটিটিইউসির আসানসোল সাবডিভিশন মোটর ট্রান্সপোর্ট ওয়াকার্স ইউনিয়নের কনভেনার রাজু আলুওয়ালিয়া বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে জেলার আরটিও থেকে পুলিশ কমিশনার সব সঙ্গে দেখা করে টোটো ও অটোর নির্দিষ্ট রুট করে চালানোর জন্য বলেছি। এরসঙ্গে, যে সব টোটোর শোরুম মালিকরা আইন ভেঙে বেকার যুবকদের টোটো বিক্রি করছে তাদেরকে গ্রেফতার করার দাবি করেছি। পুলিশ ও আরটিও কড়া পদক্ষেপ না নিলে এই পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হবেনা।
হিরাপুর থানার পুলিশ জানায়, সকালে একটা গন্ডগোল হয়েছিলো। অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে।
আসানসোল শহরের বাড়ছে যানজট, নিয়ম মেনে পার্কিং জোনে গাড়ি রাখার নির্দেশ পুরনিগমের, করা হলো মার্কিং