চিত্তরঞ্জন শহরে গভীর রাতে দুস্কৃতিরা চালাল গুলি,আতঙ্কিত এলাকাবাসী
বেঙ্গল মিরর , কাজল মিত্র :- চিত্তরঞ্জন রেল শহরে আবার বন্ধুকের গুলি চলার ফলে আতঙ্কিত এলাকাবাসী যদিও
দুষ্কৃতীরা এই গুলি চিত্তরঞ্জন 33 নম্বর রাস্তার 7D রেলবাসনে চলে।কারো প্রাণ নাসের খবর না এলেও জানাজায় একটি কুকুর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাগেছে । ঘটনার সম্পর্কে জানাজায় যে বৃহস্পতিবার রাতে চিত্তরঞ্জন রেল শহরের ৩৩- এ নাস্তার ৭- ডি আবাসনে রেলকর্মী সঙ্গীতা ভগৎ এর বাড়িতে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় কিন্তু গভীর রাতে সেই রাস্তাই একটি কুকুর চিৎকার করতে থাকলে কুকুরটিকে গুলি করে মেরে ফেলার পর দুস্কৃতিরা রেল আবাসনে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।দুষ্কৃতিরা কিন্তু কোনোক্রমে রেহাই পেয়ে যান বাড়ির সকলে ।
মনে করা হচ্ছে বাড়ির বড় ছেলে ১৯ বছরের আয়ুষ ভগৎ কে লক্ষ করেই দুষ্কৃতিদের এই গুলি চালানো ।
ঘটনার পর শুক্রবার সকালে চিত্তরঞ্জন পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘক্ষণ ধরে পরিদর্শন করার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় আবাসনের জানালায় গভীর ক্ষত হয়ে আছে এবং রাস্তায় রক্তের দাগ লেগে আছে।ঘটনার সংবাদ পেয়ে চিত্তরঞ্জন আরপিএফ ও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন। চিত্তরঞ্জন পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
তবে ঘটনার সম্পর্কে চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার ওয়ার্কস অফিসের কর্মী সঙ্গীতা ভগৎ জানান রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ বাইরে থেকে কেউ তার নাম ধরে ডাকতে থাকে।গভীর রাতে তাকে ডাকতে থাকায় তিনি অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে যে ঘরে শুয়ে ছিলেন সেখান থেকে ভেতরের ঘরে চলে যান । এ সময় চিৎকার শুনে একটি কুকুর ডেকে উঠলে তাকে গুলি করে হত্যা করে তারা । ঠিক সেই সময় তিনি জানালার সামান্য অংশ ফাক করে বাইরে দেখেন একটি বাইকে দুজন যুবক বন্দুক উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যে মুহূর্তে তিনি জানালা বন্ধ করতে যাবেন সেই সময় তারা জানালা লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে ।তাতে জানালায় বড় আঘাত লাগে কিন্তু তিনি রক্ষা পান ।এরপরই বাইক নিয়ে তারা পালিয়ে যায়।ঘটনা প্রসঙ্গে সঙ্গীতা দেবী বলেন তার দুই ছেলে আয়ুষ এবং লক্ষ্য।
১১ বছরের লক্ষ্য বিআরএস স্কুলে পড়ে । বড় ছেলে আয়ুষ সম্প্রতি পড়াশোনার জন্য জয়পুরের একটি বেসরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছে । সেখানে ৭ নভেম্বর সে চলে গেছে । কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল তা তিনি বুঝতে পারছেন না।যদিও স্থানীয় ভাইস ওয়ার্ডেন রাজেন্দ্র কুমার বলেন কালীপুজোর সময় মিহিজাম কুর্মিপাড়ার ছেলেদের সঙ্গে এখানকার কয়েকজনের ঝামেলা হয়েছিল । তাতে এই পড়ার একজন ছেলেও ছিল । সম্ভবত তারই জেরে এই ঘটনা ।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ৬ নভেম্বর আয়ুষ , বিভাস ও শুভম- এর সঙ্গে কুর্মিপাড়ার ছেলেদের জোর ঝামেলা বাধে ,তাতে কুর্মিপাড়ার দুটি ছেলে ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয় । সম্ভবত পুলিশ এর তরফে অনুমান করা হচ্ছে যে সেই ক্ষোভের কারনেই এদিনের এই গুলিচালনার ঘটনা । তবে চিত্তরঞ্জন শহরের মত জায়গায় এধরনের গুলি চালানো ঘটনা এই প্রথম নয় এর আগেও বহুবার ঘটেছে এবং অনেকে মারাও গেছে ।ঘটনার পর আতঙ্কে রয়েছে চিত্তরঞ্জন শহর বাসী ।