তৃণমূল কংগ্রেস এখন বৃদ্ধাবাস, নেতাদের যোগদান নিয়ে আসানসোলে কটাক্ষ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৩ নভেম্বরঃ দুর্গাপুরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার পরে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আসানসোলের ২ নং জাতীয় সড়কের ধাদকা মোড় সংলগ্ন কেন্দ্রীয় পার্টি অফিসে আসেন। সেখানে তিনি দলের আসানসোল জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
এদিনের বৈঠকে জেলার কনভেনার শিবরাম বর্মন, জেলা নেতৃত্বের পাশাপাশি ছিলেন জেলার তিন বিধায়ক মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল, ডাঃ অজয় পোদ্দার ও লক্ষণ ঘোড়ুই।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় আবার কমিশনারকে চিঠি পাঠিয়েছেন। সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, এই নিয়ে আমাদের কোনও কিছু বলার নেই। বিজেপি চেয়েছে রাজ্যে সমস্ত পুরসভার ভোট একসঙ্গে হোক। এবার
দিল্লি সফরে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক কংগ্রেস ও জনতা দল ইউনাইটেডের নেতাদের তৃনমুল কংগ্রেসে যোগদান করিয়েছেন। এর উত্তরে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, তৃনমুল কংগ্রেস দলটা এখন ডাস্টবিন হয়ে গেছে। বৃদ্ধাবাসে পরিনত হয়েছে। তাদেরকে কি দেবেন বলেছেন, তা উনিই জানেন। সব দলের রিজেক্টেড বা বাতিল নেতাদের ধরে নিয়ে আসছেন নিজের দলে। তাদেরকে পুনর্বাসন দেওয়ার জায়গা হয়ে গেছে এই দলটা।
এবার দিল্লিতে গিয়ে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করবেন। এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি কটাক্ষ করে বলেন, “ওয়াক্ত পোরে বাঁকা, তো গাধা কো বোলে কাকা”। এখন হাঁড়ি চড়ছে না। খাবার নেই। বেতন নেই। ডিএ নেই। তাই এখন প্রধানমন্ত্রীর হাতে পায়ে ধরা ছাড়া উপায় নেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ।